সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: ভোটের আগে প্রতিশ্রুতি দিয়েছিলেন খোদ প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। জেতার পর সেই প্রতিশ্রুতি পালন করতে চলেছে ওড়িশার (Odisha) বিজেপি সরকার। আগামী রবিবার খুলতে চলেছে পুরীর রত্নভাণ্ডারের দরজা। শেষবার এই ভাণ্ডারের দরজা খোলা হয়েছিল চার দশক আগে। স্বাভাবিক ভাবেই ফিরে আসছে সেই ইতিহাসও।
যদিও মাত্র ছবছর আগেও রত্নভাণ্ডারের দরজা খোলা হয়েছিল। কিন্তু সেবার মাত্র ৪০ মিনিট পরই ওড়িশা সরকার সিদ্ধান্ত নেয় দরজা বন্ধ করে দেওয়ার। এবং সেবার ভিতরা ভাণ্ডার তথা রত্নভাণ্ডারের অন্দরমহলও খোলা হয়নি। সেই হিসেবে ১৯৮৫ সালের ১৪ জুলাইয়ের পর আর খোলা হয়নি ভিতরা ভাণ্ডারের দরজাও।
কী আছে রত্নভাণ্ডারের অন্দরমহলে? পুরীর (Puri) জগন্নাথ মন্দিরের (Jagannath Temple) গর্ভগৃহের খুব কাছেই অবস্থিত এই রত্নভাণ্ডার। বহু যুগ ধরে এখানেই সঞ্চিত রয়েছে জগন্নাথদেব, সুভদ্রা ও বলভদ্রের রত্নসম্পদ। এর মধ্যে বহু অলঙ্কার অমূল্য! আবার বলা হয় কিছু অলঙ্কারের মূল্যকে বিচার করাই যাবে না। আক্ষরিক অর্থেই সেগুলো অমূল্য।
জানা যায়, ১৯৮৫ সালের আগে ১৯৭৮ সালে শেষবার খোলা হয়েছিল রত্নভাণ্ডারের অন্দরমহলের দরজা। সেবারই সেখানে রাখা সোনার গয়না-সহ সমস্ত অলঙ্কার ও রত্নরাজির একটি বিস্তৃত তালিকা প্রস্তুত করা হয়েছিল। তবে ১৯৮৫ সালেই কিছু অমূল্য সম্পদ সেখান থেকে সরিয়েও নেওয়া হয়। তবে সেবার কোনও তালিকা প্রস্তুত করা হয়নি। কারণ কিছু সোনার মেরামতি করা বাকি ছিল। উল্লেখযোগ্য, অমূল্য গয়না ছাড়াও ভিতরা ভাণ্ডারে রয়েছে ‘রেজা সুনা’ (সোনা) ও রুপো। এগুলি মন্দিরের দেবতাদের গয়না মেরামতির কাছে ব্যবহৃত হত।
কিন্তু ২০১৮ সালে এএসআইয়ের ১৬ সদস্যের দলটি ভিতরা ভাণ্ডারে যেতে পারেনি, কেননা চাবিটি হারিয়ে গিয়েছিল। সেই চাবি আজও পাওয়া যায়নি। কোনও অডিটও হয়নি সেই কক্ষের। তবে আগামী রবিবার চাবি না পাওয়া গেলেও তালা ভেঙেই ভিতরে ঢোকা হবে বলে জানা যাচ্ছে।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2025 Sangbad Pratidin Digital Pvt. Ltd. All rights reserved.