সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: আইনত মাসে লাখ টাকা আয় তাঁদের। তথাপি সকলেই চান বেতন বাড়ুক। বিশেষত মূল্যবৃদ্ধির বাজারে তাঁরাই বা পিছিয়ে থাকবেন কেন! সে ঠিকই আছে, কিন্তু যেভাবে সব দলের নেতারা একজোট হয়ে বিধায়ক ভাতা বাড়ানোর দাবি তুললেন ওড়িশা বিধানসভায় (Odisha Assembly), তা কিন্তু দেখার মতো ছিল। হাজার বিষয়ে তাঁদের মধ্যে লড়াই-ঝগড়া। হাতাহাতিও হয়ে যায় কখনও কখনও। মন্দ কথা বলা তো রোজকার অভ্যাস। সবটাই রাজনৈতিক কারণ। এক্ষেত্রে বিজেডি-বিজেপি-কংগ্রেস (BJD-BJP-Congress), শাসক ও বিরোধী এক হয়ে গেল!
শনিবার ওড়িশা বিধানসভার অধিবেশন চলাকালীন জিরো আওয়ারে বিধায়ক ভাতা বাড়ানোর দাবি তোলেন বিজেপির চিফ হুইপ মোহন মাঝি (Mohan Majhi)। তাঁর দাবি, সবকিছুর দাম বাড়ছে। তিনি উল্লেখ করেন, শেষবার ২০১৭ সালের ২৩ সেপ্টেম্বর বিধায়কদের বেতন ও ভাতা বাড়ানো হয়েছিল। মোহন বলেন, যে হারে জিনিসপত্রের দাম বাড়ছে সেই তুলনায় বিধায়কদের বেতন ও ভাতা খুব কম। তিনি আরও দাবি করেন, বহু রাজ্যের বিধায়কদের তুলনায় ওড়িশার বিধায়করা কম টাকা পান। সেই টাকার পরিমাণ কত?
ওড়িশার বিধায়করা বেতন পান ৩৫ হাজার টাকা, বেতন ভাতা পান ৬৫ হাজার টাকা। অর্থাৎ সব মিলিয়ে মাস গেলে তাঁরা পান ১ লক্ষ টাকা। এই আয় প্রয়োজনের তুলনায় কম বলে দাবি ওই রাজ্যের বিভিন্ন দলের বিধায়কদের। এদিন মোহন ঝাপির দাবিকে সমর্থন করেন শাসক দল বিজেডির বিধায়ক অমর প্রসাদ সৎপতি (Amar Prasad Sathpati) এবং কংগ্রেস বিধায়ক তারাপ্রসাদ বাহিনীপতি (Taraprasad Bahinipati)। উভয় নেতাই বিধানসভায় অধিবেশনে বুঝিয়ে দেন, মোহন ন্যায্য দাবি তুলেছেন। বিধায়কদের বেতন ও ভাতা বৃদ্ধির সময় হয়েছে। এই বিষয়ে ঐক্যমত্য হতে সময় লাগেনি বিভিন্ন দলের নেতাদের। যতই তাঁরা ভোটের বাজারে একে অপরের প্রতিদ্বন্দ্বী হন।
এদিকে সমস্ত দলের বিধায়ক একযোগে বেতন বাড়ানোর দাবি তোলায় সমালোচনা শুরু হয়েছে। ওড়িশার পরিচিত সাংবাদিক ও সমাজকর্মী রবি দাস বলেন, “মূল্যবৃদ্ধির জন্য, বেকারত্বের জন্য যাঁরা দায়ী, তাঁরাই নিজেদের বেতন বাড়ানোর দাবি জানাচ্ছে। এই ঘটনা লজ্জার।”
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2024 Pratidin Prakashani Pvt. Ltd. All rights reserved.