সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: মধ্যপ্রদেশের মান্দসৌরে কৃষকদের বিক্ষোভ সামাল দিতে গুলি চালিয়েছিল পুলিশ, মৃত্যু হয়েছিল ছয় প্রতিবাদী কৃষকের। তারপরই পরিস্থিতি এতটাই ঘোরালো হয়ে ওঠেছে, যে রাজ্যে শান্তি ফেরাতে অনশনে বসতে হয়েছে খোদ মুখ্যমন্ত্রী শিবরাজ সিং চৌহানকে। আর এবার রাজধানী ভোপালে কৃষকদের বিক্ষোভ সামাল দিতে গিয়ে এক বৃদ্ধ দম্পতির ওপর নির্মমভাবে লাঠি চালালো পুলিশ। পুলিশের লাঠির আঘাতে হাড় ভেঙেছে তাঁদের।
[রাজ্যে শান্তি ফেরাতে অনশনে বসলেন মধ্যপ্রদেশের মুখ্যমন্ত্রী]
গত কয়েক দিন ধরেই ঋণ মকুব ও ফসলের ন্যায্য দামের দাবিতে কৃষকদের বিক্ষোভের উত্তপ্ত মান্দসৌর। সেই বিক্ষোভের আঁচ ছড়িয়েছে রাজ্যের বিভিন্ন প্রান্তে। শুক্রবার ভোপালে পুলিশকে ঘিরে বিক্ষোভ দেখাচ্ছিল একদল কৃষক। পুলিশকে লক্ষ্য করে ইট ছোড়া হয়। পরিস্থিতি সামাল দিতে বেধড়ক লাঠিচার্জ করতে শুরু করে পুলিশ। ঘটনার সময়ে স্বামী, ছেলে ও নাতিদের নিয়ে নিজের বাড়িতেই ছিলেন কমলা্বাঈ মেয়াদে নামে ওই বৃদ্ধা। কিন্তু তাও তাঁকে রেয়াত করেনি পুলিশ। রীতিমতো বাড়িতে ঢুকে ওই বৃদ্ধা ও তাঁর স্বামীকে লাঠিপেঠা করা হয়। কমলাবাঈ মেয়াদে জানিয়েছেন, ‘স্বামী, ছেলে ও নাতিদের নিয়ে বাড়িতে বসেছিলাম। আচমকাই বাড়িতে ঢুকে পুলিশকর্মীরা বলেন, আমরা নাকি বাড়িতে পাথর নিক্ষেপকারীদের বাড়িতে লুকিয়ে রেখেছি। এরপরই আমাকে ও আমার স্বামী ওপর লাঠি চালাতে শুরু করে তারা।’ বৃদ্ধার ছেলে ও নাতিদেরও লাঠিপেঠা করা হয়। এমনকী, ফাটানো হয় টিয়ার গ্যাসের শেলও। পরে কমলাবাঈ-সহ মেয়াদে পরিবারের সাত সদস্যকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ।
[মান্দসৌর কাণ্ডের প্রতিবাদে কেন্দ্রীয় মন্ত্রীকে ডিম ছুড়লেন কংগ্রেস কর্মীরা]
কমলাবাঈ জানিয়েছেন, তাঁদের বাড়ির পিছনে একটি খামারবাড়ি আছে। পুলিশের তাড়া খেয়ে বেশ কয়েকজন বিক্ষোভকারীদের বাড়ির উঠোন দিয়ে দৌড়ে গিয়ে সেই খামারবাড়িতে আশ্রয় নেন। কিন্তু, তিনি বা তাঁর পরিবারের কেউ পুলিশকে লক্ষ্য করে ইট ছোড়েননি। বরং এলাকার পরিস্থিতি উত্তপ্ত থাকায় বাড়িতেই ছিলেন তাঁরা।
[পুরুষ যাত্রীদের বদভ্যাস বাগে আনতে আজব ফরমান এই শহরে]
শনিবার ছেলেদের নিয়ে ভোপালের দশেরা ময়দানে মুখ্যমন্ত্রী শিবরাজ সিং চৌহানের কাছে অভিযোগ জানাতে গিয়েছিলেন ওই বৃদ্ধা। কিন্তু পুলিশ সেখান থেকেও তাঁদের তাড়়িয়ে দেয় বলে অভিযোগ। তবে ঘটনার তদন্তের আশ্বাস দিয়েছে ভোপালের পুলিশ সুপার অরবিন্দ সাক্সেনা।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2024 Pratidin Prakashani Pvt. Ltd. All rights reserved.