সোমনাথ রায়, নয়াদিল্লি: আনন্দের দিন, উদযাপনের দিন। ভারতের গণতন্ত্রের আরও একটি উজ্জ্বল দিন। তৃতীয়বারের জন্য শপথ নিয়ে কেন্দ্রে সরকার গঠন করলেন নরেন্দ্র মোদি। এই অনুষ্ঠান ঘিরে রবিসন্ধ্যায় দিল্লির রাইসিনা হিলসে চাঁদের হাট। দেশ, বিদেশের বিশিষ্ট অতিথিদের মধ্যে কেউই প্রায় এমন আলোকোজ্জ্বল অনুষ্ঠানের সাক্ষী হওয়ার সুযোগ ছাড়লেন না। মোদি এবং ৭১ জন মন্ত্রীর শপথগ্রহণ শেষে রাষ্ট্রপতি ভবনেই সকলের নৈশভোজের আয়োজন করা হয়েছে। আয়োজক বিজেপি সর্বভারতীয় সভাপতি জেপি নাড্ডা। তাতে আমন্ত্রণ পেয়েছেন অনেকে। শোনা গিয়েছে, নৈশভোজে এলাহি আয়োজন। হাজার রকমের নিরামিষ পদ আর মিষ্টি রয়েছেন মেনুতে। দিল্লির প্রবল গরমের সঙ্গে সাযুজ্য রেখে মেনুতে হরেক রকমের ‘ঠান্ডাই’ রয়েছে বলে সূত্রের খবর। বাদ যায়নি বাংলার বিখ্যাত মিষ্টি। শেষপাতে রয়েছে রসমালাই, ছানার মিষ্টি।
দেশি-বিদেশি অতিথি মিলিয়ে প্রায় ৮ হাজার আমন্ত্রিত মোদির শপথে (PM Modi Oath Taking Ceremony)। রাইসিনা হিলসের নৈশভোজেও নিমন্ত্রিত তাঁরা। ফলে খাবার মেনু দারুণ হওয়া চাই। আর সেইমতোই মেনু ঠিক করা হয়েছে। দিল্লিতে এই মুহূর্তে প্রচণ্ড গরম। তার সঙ্গে সামঞ্জস্য রেখে খাবারের পদ রয়েছে। আমের ক্রিম, স্টাফড লিচু, মটকা কুলফি, রায়তা – শরীর শীতল করার জন্য পছন্দমতো ‘ঠান্ডাই’ খেতে পারেন অতিথিরা।
মেন কোর্সে রয়েছে রকমারি খাবার। পাঞ্জাবি ও রাজস্থানি ডিশ হাজির করা হবে অতিথিদের সামনে। দম বিরিয়ানি, যোধপুরী সবজি, ডাল, পাঁচরকমের রুটি, পরোটা। থাকছে বাজরার খিচুড়ি। গত বছরই ‘মিলেট’ (Millet) অর্থাৎ জোয়ার-বাজরার মতো রবি শস্যের ফলন বৃদ্ধিতে বিশেষ গুরুত্ব দিয়েছিল দ্বিতীয় মোদি সরকার। আন্তর্জাতিক স্তরে এসব খাবার তুলে ধরা হয়েছিল বিশেষভাবে। এদিন শপথগ্রহণ অনুষ্ঠানে সেই বাজরার খিচুড়ি রাখা বেশ তাৎপর্যপূর্ণ।
ডেজার্ট অর্থাৎ মিষ্টি পদের সম্ভারও কম নয়। সূত্রের খবর, অন্তত আটরকমের মিষ্টি থাকছে শেষপাতে। তার মধ্যে অবশ্যই অতিথিদের জন্য থাকছে বাংলার রসমালাই। থাকছে ওড়িশার ছানার মিষ্টি, রাজস্থানের ঘেওরের হরেক পদ। দেশি, বিদেশি অতিথিরা সকলেই পছন্দমতো পদে নৈশভোজ সারবেন।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2024 Pratidin Prakashani Pvt. Ltd. All rights reserved.