সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: মাস ছয়েক আগে কাশ্মীরে পাঠানো হয়েছিল ন্যাশনাল সিকিউরিটি গার্ডের কমান্ডোদের। বিশেষভাবে প্রশিক্ষিত এই কমান্ডো বাহিনী সন্ত্রাসবাদীদের কাছে যমদূতের মতোই। অথচ, গত ৬ মাসে নাকি এই কালো পোশাকের বাহিনীকে জঙ্গি দমনের কাজেই লাগায়নি প্রশাসন। বরং, তাদের ব্যবহার করা হচ্ছে কাশ্মীর পুলিশ এবং সেনার অন্য বাহিনীদের প্রশিক্ষণের জন্য। অথচ, সেনা বাহিনীকে প্রশিক্ষণ দেওয়ার জন্য আলাদা পরিকাঠামো রয়েছে কেন্দ্রের। স্বাভাবিকভাবেই উপত্যকায় যে ভূমিকায় এনএসজিকে ব্যবহার করা হচ্ছে তাতে সন্তুষ্ট নন বাহিনীর আধিকারিকরা। তারা এবারে দ্বারস্থ হয়েছেন স্বরাষ্ট্র মন্ত্রকের।
সাধারণত বিখ্যাত নেতা-নেত্রীদের নিরাপত্তার কাজে ব্যবহার করা হয় এনএসজি কমান্ডোদের৷ কিন্তু গত মে মাসেই উপত্যকায় পাঠানো হয় ৮০ জন এনএসজি কমান্ডোকে। সূত্রের খবর, জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা অজিত দোভালের নির্দেশেই এনএসজি কমান্ডোদের উপত্যকায় পাঠানো হয়েছিল। দোভাল চাইছিলেন, ঘনবসতিপূর্ণ এলাকায় সন্তর্পণে জঙ্গিদের খুঁজে বের করতে এবং আকস্মিক আক্রমণ হলে তা সামাল দিতে ব্যবহার করা হবে এনএসজি কমান্ডোদের। সেনা সূত্রে খবর, সেনা জওয়ানদের সহযোগিতার জন্য নিয়োগ করা হচ্ছে বিশেষ প্রশিক্ষিত এই বাহিনীকে৷ সেনা অভিযানের তীব্রতা বাড়ানো হলে সামনে থেকে নেতৃত্ব দেবেন এই এনএসজি জওয়ানরা৷
কিন্তু গত কয়েক মাস ধরে কোনও গুরুত্বপূর্ণ জঙ্গি দমন অভিযানে কাজে লাগানো হয়নি এনএসজি কমান্ডোদের। তাঁদের শুধুমাত্র অন্য বাহিনীর জওয়ানদের বিশেষ প্রশিক্ষণ দেওয়ার কাজে ব্যবহার হচ্ছে। আর এই ভূমিকাতেই অসন্তুষ্ট এনএসজি। ইতিমধ্যেই কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্র মন্ত্রকের দ্বারস্থ হয়েছে এনএসজি। জম্মু কাশ্মীরে ঠিক কী তাদের দায়িত্ব, সেটাই বুঝে নিতে চাইছেন তারা। এনএসজির ডিরেক্টর জেনারেল সুদীপ লাখতাকিয়া বলছেন,”রাজ্যের কাজে কোন বাহিনীকে কাজে লাগানো হবে তা সম্পূর্ণ রাজ্য সরকারের ব্যপার। আমরা আমাদের একটি দলকে শ্রীনগরে মোতায়েন করেছিলাম স্থানীয় প্রশাসনের অনুরোধেই। কিন্তু আমাদের এখন শুধু প্রশিক্ষণের কাজে ব্যবহার করা হচ্ছে।” জম্মু কাশ্মীরের রাজ্যপাল সত্যপাল মালিকের সঙ্গেও দেখা করেন তিনি। বিরোধীরা প্রশ্ন তুলছেন, কাশ্মীরের মতো সন্ত্রাস কবলিত এলাকায় এনএসজি কমান্ডোদের ব্যবহার না করার পিছনে সরকারের যুক্তি কী? আর যদি এই বাহিনীকে ব্যবহারই না করা হবে তাহলে ব্যয়বহুল এনএসজি মোতায়েন করা হল কেন?
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2024 Pratidin Prakashani Pvt. Ltd. All rights reserved.