সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: স্বাধীনতা দিবসে জাতীয় সঙ্গীত গাইতে হবে। উত্তোলন করতে হবে জাতীয় পতাকা। এবং ভিডিও রেকর্ডিংয়ের মাধ্যমে তার প্রমাণ রাখতে হবে। উত্তরপ্রদেশের মাদ্রাসাগুলিকে এমনটাই নির্দেশ দিয়েছিল যোগী সরকার। তবে জাতীয় সঙ্গীত নাকি ইসলাম-বিরুদ্ধ। ‘জন গণ’ গাইলে নাকি আল্লাহকে অপমান করা হবে। তাই ওই নির্দেশিকা অমান্য করে প্রায় শতাধিক মাদ্রাসা। এবার ফরমান না মানায় অভিযুক্ত মাদ্রাসাগুলির বিরুদ্ধে কড়া পদক্ষেপ নিতে চলেছে যোগী সরকার।
[বিয়ে বাঁচাতে অর্থের বিনিময়ে মৌলবিদের সঙ্গে রাত কাটাতে বাধ্য হন মুসলিম মহিলারা]
সংবাদ সংস্থা এএনআইকে দেওয়া এক বিবৃতিতে বরেলির ডিভিশনাল কমিশনার পি ভি জগমোহন জানিয়েছেন, যে মাদ্রাসাগুলি সরকারের নির্দেশিকা অমান্য করেছে তাদের বিরুদ্ধে এনএসএ বা জাতীয় সুরক্ষা আইনের আওতায় মামলা দায়ের করা হবে। নির্দেশিকা থাকা সত্বেও জাতীয় সংগীত না গাওয়া ও অনুষ্ঠান ক্যামেরাবন্দি না করার জন্য মাদ্রাসাগুলির বিরুদ্ধে আইনি পদক্ষেপ নিতে বাধ্য হয়েছে রাজ্য সরকার। উল্লেখ্য, মুখ্যমন্ত্রী যোগী আদিত্যনাথের ফরমানের পর তৈরি হয়েছিল বিতর্ক। মুসলিম বলেই কি দেশপ্রেমের প্রমাণ দিতে হবে? এমন প্রশ্ন তুলেছিলেন অনেকেই। তবে সরকারের এই সিদ্ধান্ত সমর্থনও পেয়েছিল অনেকের থেকেই। দেশকে ভালবাসলে জাতীয় সংগীত গাইতে আপত্তি কেন? উঠেছিল এ প্রশ্নও। যোগী সরকারের নির্দেশিকায় তীব্র ক্ষোভ প্রকাশ করেছিলেন মৌলবিরা। ঘোর অনাস্থা জানিয়ে বলেছিলেন, চিরাচরিত নিয়ম অনুযায়ী তাঁরা জাতীয় সংগীত গান না। কেননা, জাতীয় সংগীতের এমন কিছু লাইন আছে, বিশেষত শেষ লাইনে ‘জয় হে’- গাওয়ার সময় মনে হয়, বুঝি আল্লাহকেই ছোট করা হচ্ছে।
[জানেন, কোন দেশে একাধিক বিবাহ করতে পারেন হিন্দু নাগরিকরা?]
তাই ধর্মের অজুহাতে নিজের অবস্থান থেকে একচুলও না সরে স্বাধীনতা দিবসের দিন জাতীয় সংগীত গাওয়া থেকে বিরত থাকল উত্তরপ্রদেশের প্রায় শতাধিক মাদ্রাসা। তবে জাতীয় পতাকা উত্তোলন করে ইকবালের ‘সারে জাঁহা সে আচ্ছা’ গেয়ে স্বাধীনতা দিবস পালন করে পড়ুয়ারা। তারপরই প্রশ্ন উঠে কি ব্যবস্থা নেবে যোগী সরকার? সরকারের সিদ্ধান্তে সাফ হয়ে গেল যে, কড়া হাতেই শাসনভার সামলাবেন যোগী। এবং ‘ভোটব্যাঙ্ক’ রাজনীতির চাপে সিদ্ধান্ত নিতে দ্বিধা করবেন না তিনি, এমনটাই মত অনেকের।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2024 Pratidin Prakashani Pvt. Ltd. All rights reserved.