সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: আরও বিপাকে উত্তরপ্রদেশের চিকিৎসক কাফিল খান। জেল থেকে ছাড়া পাওয়ার ঠিক আগের মুহূর্তেই তার উপর জাতীয় নিরাপত্তা আইনে (NSA) প্রয়োগ করা হল। প্রসঙ্গত, আলিগড় মুসলিম বিশ্ববিদ্যালয়ে CAA-র বিরুদ্ধে প্ররোচনামূলক বক্তৃতা দেওয়ার অভিযোগে গত ২৯ জানুয়ারি মুম্বই থেকে তাঁকে গ্রেপ্তার করা হয়েছিল।
গত সোমবারই তাঁর জামিন মঞ্জুর হয়। কিন্তু উত্তরপ্রদেশ পুলিশ জানিয়েছে, কাফিল খানের বিরুদ্ধে জাতীয় নিরাপত্তা আইন চাপায় অনির্দিষ্টকালের জন্য তাঁকে জেলবন্দি থাকতে হবে। তাদের যুক্তি, কাফিল খানকে জেল থেকে ছাড়া হলে জনমানসে তার প্রভাব পড়বে। তাই আপাতত তাকে জেলেই রাখা হবে। এদিকে এই ঘটনায় উত্তরপ্রদেশ সরকারের বিরুদ্ধে প্রতিহিংসামূলক আচরণের অভিযোগ তুলেছে কাফিল খানের পরিবার। পরিবারের সদস্যদের অভিযোগ, উত্তরপ্রদেশের BRD হাসপাতালের ঘটনার পর থেকেই যোগীর প্রশাসন কাফিলের উপর খড়গহস্ত হয়েছিল। এবার সেই প্রতিহিংসা চরিতার্থ করছে তারা।
মুম্বইতে CAA বিরোধী প্রতিবাদ-আন্দোলনে যোগ দিতে যাচ্ছিলেন কাফিল।উত্তরপ্রদেশ পুলিশের স্পেশাল টাস্ক ফোর্স বিমানবন্দর থেকে তাঁকে গ্রেপ্তার করার পর থেকেই মথুরা জেলেই বন্দি ছিলেন। গত সোমবার ৬০ হাজার টাকা ব্যক্তিগত বন্ডে জামিন পান কাফিল খান। বৃহস্পতিবার জেল কর্তৃপক্ষের কাছে কাগজপত্র এসে পৌঁছয়। শুক্রবার সকালে তাঁকে ছাড়ার কথা ছিল। কিন্তু সকাল ন’টা নাগাদ তাঁর পরিবারের সদস্যদের জানানো হয় কাফিলকে ছাড়া হবে না। তার উপর NSA প্রয়োগ করা হয়েছে। এ প্রসঙ্গে তাঁর ভাই আদিল খান বলেন, “দাদার আর কিছুদিনের মধ্যেই জেল থেকে বাইরে আসার কথা ছিল। কিন্তু পরে পুলিশ জানায়, জাতীয় নিরাপত্তা আইন চাপানো হয়েছে তাঁর উপর। এখনই তাঁর ছাড়া পাওয়ার কোনও সম্ভাবনা নেই।”
জাতীয় নিরাপত্তা আইনে (NSA) কাউকে গ্রেপ্তার করা হলে তাকে আনির্দিষ্টকালের জন্য আটক করে রাখা যায়। অনেক ক্ষেত্রেই কারণ জানানোও হয় না। তবে বন্দি থাকাকালীন হাইকোর্টের উপদেষ্টা বোর্ডের কাছে আবেদন জানাতে পারেন ওই ব্যক্তি। কিন্তু তাঁর আইনজীবী নিয়োগ করার অধিকার নেই। কাফিল খানের পরিবার জানিয়েছে, আলিগড়ের চিফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেটে(সিজেএম) আবেদন জানানো হয়েছে।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2025 Sangbad Pratidin Digital Pvt. Ltd. All rights reserved.