সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: দেশকে দুর্বল করার জন্য ভারত ভাগ ছিল চতুর ব্রিটিশদের একটা সুপরিকল্পিত ষড়যন্ত্র । আর সেই ষড়যন্ত্রে শরিক ছিলেন তৎকালীন ভারতের কিছু নেতা। নেতাজি সুভাষচন্দ্র বসু (Subhas Chandra Bose) থাকলে আদপেই কি ব্রিটিশদের ভারত বিভাজন সম্ভব হত? বিষয়টি নিয়ে আজও আলোচনা হয় দেশে। জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা (এনএসও) অজিত ডোভাল (Ajit Doval) এই নিয়ে নিজের মত জানালেন। তাঁর মতে, সেই সময় নেতাজির উপস্থিতি দেশভাগ আটকাতে পারত। নেতাজি থাকলে ভারতের বিভাজন হত না।
শনিবার নয়াদিল্লিতে বণিকসভা অ্যাসোসিয়েটেড চেম্বার্স অফ কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রিজ (অ্যাসোচেম) আয়োজিত প্রথম ‘নেতাজি সুভাষচন্দ্র বোস মেমোরিয়াল’ বক্তৃতায় ডোভাল বলেন, “নেতাজি সুভাষচন্দ্র বসু থাকলে ভারত বিভাজনই হত না। মহম্মদ আলি জিন্নাও বলেছিলেন যে তিনি কেবল একজন নেতাকে মেনে নিতে পারেন এবং তিনি হলেন নেতাজি সুভাষচন্দ্র বসু। নেতাজির প্রচেষ্টায় কেউ সন্দেহ করতে পারে না, মহাত্মা গান্ধীও তাঁর ভক্ত ছিলেন।”
দোভাল আরও বলেন, “নেতাজি বলেছিলেন যে তিনি পূর্ণ স্বরাজের জন্য কোনও কিছুর সঙ্গেই আপোস করবেন না। তিনি শুধু এই দেশকে রাজনৈতিক পরাধীনতা থেকে মুক্ত করতে চাননি, তিনি বলেছিলেন যে মানুষের রাজনৈতিক, সামাজিক ও সাংস্কৃতিক মানসিকতার পরিবর্তন দরকার এবং তারা যেন আকাশে মুক্ত পাখির মতো অনুভব করে। নেতাজির মনে চিন্তা এল যে আমি ব্রিটিশদের বিরুদ্ধে যুদ্ধ করব, আমি স্বাধীনতা ভিক্ষা করব না। এটা আমার অধিকার এবং আমি তা অর্জন করব । কিন্তু সেই সময়ে কেবল একমাত্র জাপান নেতাজির পাশে ছিল, এর বাইরে তখন তিনি সম্পূর্ণ একা ছিলেন।”
ডোভালের কথায়, “ভারত বা বিশ্বের ইতিহাসে খুব কম মানুষ রয়েছেন যাঁরা প্রবাহের বিরুদ্ধে যাওয়ার সাহস দেখিয়েছিলেন। নেতাজি সুভাষচন্দ্র বসু সেই সাহস দেখিয়েছিলেন এবং এমনকী তিনি মহাত্মা গান্ধীকেও চ্যালেঞ্জ করার ক্ষমতা রাখতেন। বিশেষ করে মহাত্মা গান্ধী তখন তাঁর রাজনৈতিক জীবনের শীর্ষে।”
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2024 Pratidin Prakashani Pvt. Ltd. All rights reserved.