Advertisement
Advertisement
ইসরো

তালাবন্ধ ঘর থেকে উদ্ধার ইসরোর বিজ্ঞানীর রক্তাক্ত মৃতদেহ, চাঞ্চল্য হায়দরাবাদে

ওই বিজ্ঞানীকে খুন করা হয়েছে বলেই প্রাথমিকভাবে মনে করছে পুলিশ।

NRSC scientist found dead at his flat in Hyderabad
Published by: Soumya Mukherjee
  • Posted:October 2, 2019 9:57 am
  • Updated:October 2, 2019 10:00 am  

সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: তালাবন্ধ ঘর থেকে ইসরোর এক বিজ্ঞানীর রক্তাক্ত মৃতদেহ উদ্ধারের ঘটনায় তীব্র চাঞ্চল্য তৈরি হয়েছে হায়দরাবাদে। মৃত ওই বিজ্ঞানীর নাম এস সুরেশ কুমার(৫৬)। ঘটনাটি ঘটেছে আমিরপেট এলাকার ধরম করম রোডের একটি আবাসনে। পুলিশ খুনের মামলা দায়ের করে তদন্ত শুরু করলেও এখনও পর্যন্ত কাউকে গ্রেপ্তার করতে পারেনি। কী কারণে এই ঘটনা ঘটল তাও জানতে পারেনি।

[আরও পড়ুন: এবার উত্তরপ্রদেশেও NRC! বাংলাদেশিদের শনাক্ত করে বিতড়নের নির্দেশ যোগীর]

স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, আদতে কেরালার বাসিন্দা সুরেশ কুমার ভারতীয় মহাকাশ গবেষণা সংস্থা ইসরোর একজন গুরুত্বপূর্ণ বিজ্ঞানী ছিলেন। কাজ করতেন ন্যাশনাল রিমোট সেন্সিং সেন্টার(এনআরসি)-এর ফোটো সেকশনে। এই কারণে দীর্ঘদিন ধরেই তেলাঙ্গানার রাজধানী হায়দরাবাদে বসবাস করতেন। থাকতেন আমিরপেটের ধরম করম রোডের একটি আবাসনে। এদিকে তাঁর স্ত্রী কাজ করেন চেন্নাইয়ের একটি ব্যাংকে। তাই মেয়েকে নিয়ে সেখানেই থাকেন। আর ছেলে থাকেন আমেরিকায়। ফলে হায়দরাবাদে একাই থাকতে হত সুরেশ কুমারকে। সোমবার বিকেল সাড়ে পাঁচটা নাগাদ তাঁকে পুরো ভিজে অবস্থায় ফ্ল্যাটে ঢুকতে দেখেন এক প্রতিবেশী। তারপর
থেকে আর বাইরে বেরোতে কেউ দেখেননি তাঁকে।

Advertisement

মঙ্গলবার সকালে তিনি অফিস না যাওয়ায় সহকর্মীরা বারবার ফোন করছিলেন। কিন্তু, মোবাইল সুইচ অফ ছিল সুরেশ কুমারের। ওই আবাসনের অন্য একটি ফ্ল্যাটে থাকা সুরেশ কুমারের এক আত্মীয় দেখেন, বাইরে থেকে তালা বন্ধ রয়েছে বিজ্ঞানীর ঘর। এরপরই চেন্নাইয়ে সুরেশ কুমারের স্ত্রী ইন্দিরাকে ফোন করেন তিনি। ইন্দিরাদেবী আসার পর পুলিশ গিয়ে ওই ফ্ল্যাটের তালা ভেঙে ভিতরে প্রবেশ করে। আর তখনই দেখা যায় রক্তাক্ত অবস্থায় মেঝেতে পড়ে আছে সুরেশ কুমারের মৃতদেহ। তাঁর মাথার পিছন দিকে তিনটি জায়গায় গভীর ক্ষত ছিল। পরে মৃতদেহটি উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য পাঠায় পুলিশ।

[আরও পড়ুন: রোগ সারাতে একরত্তি মেয়েকে নদীতে ছুঁড়ে ফেলল বাবা]

স্থানীয় এসআর পুলিশ ইনস্পেক্টর এস মুরলীকৃষ্ণ বলেন, ‘প্রাথমিকভাবে মনে হচ্ছে ওই বিজ্ঞানীকে খুন করা হয়েছে। তাঁর মাথার পিছনে তিন জায়গায় আঘাতের চিহ্ন রয়েছে। ভারী কিছু দিয়ে আঘাত করা হয়েছিল বলে মনে করা হচ্ছে। তবে ময়নাতদন্তের রিপোর্ট পেলেই এই বিষয়ে বিস্তারিত তথ্য জানানো সম্ভব হবে। তবে পুরনো ওই আবাসনে সিসিটিভি না থাকায় তদন্তে একটু অসুবিধা হচ্ছে।’

Sangbad Pratidin News App

খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ

Advertisement