সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: এবার থেকে স্কুল, কলেজ, বিশ্ববিদ্যালয় এবং সমস্ত সরকারি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে ‘বন্দে মাতরম’ গাইতে হবে। এমনই নির্দেশ দিল মাদ্রাস হাই কোর্ট। মঙ্গলবার জানিয়ে দেওয়া হল, সপ্তাহে অন্তত একবার ‘বন্দে মাতরম’ গাওয়া বাধ্যতামূলক।
এদিন হাই কোর্টের বিচারপতি এমভি মুরলীধরন নির্দেশ দিয়েছেন, সপ্তাহে যে কোনও একদিন (সোমবার অথবা শুক্রবার হলে বেশি ভাল) জাতীয় স্তোত্র গাইতে হবে তামিলনাড়ুর স্কুল, কলেজ, বিশ্ববিদ্যালয় ও শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের পড়ুয়াদের। পাশাপাশি নির্দেশিকায় বলা হয়েছে, রাজ্যের প্রতিটি সরকারি ও বেসরকারি অফিস, প্রতিষ্ঠান, কারখানা এবং শিল্প প্রতিষ্ঠানে মাসে অন্তত একবার ‘বন্দে মাতরম’ গাওয়া বাধ্যতামূলক। মুখ্য জনসংযোগ আধিকারিককে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে, প্রয়োজনে ‘বন্দে মাতরম’ গানটির তামিল ও ইংরাজি অনুবাদ তৈরি করে তা সমস্ত সরকারি ওয়েবসাইটে আপলোড করতে হবে। সোশ্যাল মিডিয়াতেও গানটি যাতে পাওয়া যায়, সে বিষয়টিও নিশ্চিত করতে বলা হয়েছে। গানটি যাতে সর্বসাধারণের পেতে কোনও সমস্যা না হয়, সেই কারণেই এমন নির্দেশ আদালতের। যদি কোনও ব্যক্তি বা প্রতিষ্ঠান জাতীয় গান গাইতে রাজি না থাকে, সেক্ষেত্রে তাদের কারণ দর্শাতে হবে। যুক্তিযুক্ত কারণ দেখালে তাঁকে বা সেই প্রতিষ্ঠানকে ‘বন্দে মাতরম’ গাইতে জোর করা হবে না।
এই নির্দেশিকার একটি কপি তামিলনাড়ু প্রশাসনের প্রধান সচিবের কাছে দেওয়া হচ্ছে। যিনি প্রতিটি প্রতিষ্ঠানের কাছে ‘বন্দে মাতরম’ গাওয়ার সমস্ত নির্দেশিকা তুলে ধরবেন। আদালত জানায়, যুবপ্রজন্মই এ দেশের ভবিষ্যৎ। তাই আদালতের নির্দেশ যথাযোগ্য পালন করা হবে বলেই আশা করা হচ্ছে।
উল্লেখ্য, পরীক্ষায় সঠিক উত্তর দিয়েও এক নম্বর কেটে নেওয়া হয়েছিল তামিডলনাড়ুর পরীক্ষার্থী ভিরমানির। যার জন্য টিচার্স রিক্রুটমেন্ট বোর্ডের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করেছিলেন তিনি। তাঁর দাবি ছিল, সংস্কৃত নয় বাংলাতেই বঙ্কিমচন্দ্র চট্টোপাধ্যায় লিখেছিলেন জাতীয় স্তোত্র ‘বন্দে মাতরম’। তাই বোর্ডের নম্বর কাটার কোনও অধিকার নেই। বিষয়টির সত্যতা যাচাইয়ের পর মাদ্রাস হাই কোর্ট জানিয়েছিল, ভিরমানিই সঠিক। আর এতেই নম্বর বাড়ে তাঁর। তারপরই জাতীয় স্তোত্রকে বাধ্যতামূলক করার নির্দেশ দিল আদালত।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2024 Pratidin Prakashani Pvt. Ltd. All rights reserved.