সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: ম্যানহোলে নেমে ময়লা পরিষ্কার করতে গিয়ে মৃত্যুর ঘটনা মাঝে মাঝেই উঠে আসে সংবাদমাধ্যমে। অথচ ১৯৯৩ সালেই মানবিক দৃষ্টিকোণে এই সংক্রান্ত আইন (Manual Scavengers and Construction of Dry Latrines (Prohibition) Act, 1993) আনা হয়েছিল। যেখানে বলা হয়েছিল, জমাদার, মেথর বা ধাঙড়েরা যে কাজ করেন, এরপর সেই কাজ হবে মেশিনের মাধ্যমে। পাশাপাশি ২০১৩ সালে আরও এক আইনে জমাদার, মেথর বা ধাঙড়দের পুনর্বাসনের কথাও বলা হয়েছিল। যদিও অভিযোগ, আইন আসলেও পরিস্থিতির বদল হয়নি আদৌ। এই অবস্থায় মঙ্গলবার কেন্দ্রের কাছে জবাবদিহি চাইল সুপ্রিম কোর্ট (Supreme Court)। আইন প্রয়োগ কত দূর হয়েছে, কতজন মানুষ পুনর্বাসন পেয়েছেন। ছ’সপ্তাহের মধ্যে বিস্তারিত রিপোর্ট চাইল আদালত।
বর্জ্য পরিষ্কারে আর মানবিক শ্রম ব্যবহার করা যাবে না, ১৯৯৩ সালের আইনে একথাই বলা হয়েছিল। এর মধ্যে ছিল ম্যানহোল পরিষ্কার, শৌচাগার (খাটা পায়খানা) পরিষ্কার ইত্যাদি। পরবর্তীকালে ২০১৩ সালে জমাদার, মেথর বা ধাঙড়দের পুনর্বাসনের জন্য আইন প্রণয়ন করা হয়। এদিন বিচারপতি এস আর ভট্ট এবং বিচারপতি দীপঙ্কর দত্তের ডিভিশন বেঞ্চ প্রশ্ন করে, এই দু’টি আইনের প্রয়োগ কতখানি হয়েছে? শুননি শেষে এই বিষয়ে রাজ্যভিত্তিক রিপোর্ট চাইল সুপ্রিম কোর্ট।
ওই রিপোর্টে উল্লেখ করতে হবে, বিনা জলের শৌচাগারের ব্যবহার কতটা কমাতে পেরেছে স্থানীয় প্রশাসনগুলি। রাজ্যভিত্তিক মেথরদের সংখ্যা এবং কত জনকে পুনর্বাসন দেওয়া হয়েছে, তারও হিসাব চেয়েছে আদালত। ময়লা পরিষ্কারে মেশিনের ব্যবহার কতখানি হচ্ছে দেশে, এমনকী বর্জ্য পরিষ্কার করতে গিয়ে কতজনের মৃত্যু হয়েছে, তাও জানতে চেয়েছে দুই বিচারপতিদের বেঞ্চ।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2024 Pratidin Prakashani Pvt. Ltd. All rights reserved.