সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: নভেম্বরের কমেছিল খুচরো পণ্যের মূল্যবৃদ্ধির হার (Retail inflation)। এর পর কমে পাইকারি মূল্যবৃদ্ধির হারও। এবার ডিসেম্বর মাসেও সেই ধারা অব্যাহত রইল। গত এক বছরের তুলনায় খুচরো মূল্যবৃদ্ধির হার সর্বনিম্ম ৫.৭২ শতাংশ হল। বলা বাহুল্য, মধ্যবিত্তের জন্য সুখবর। এর ফলে ডিসেম্বরেও রিজার্ভ ব্যাংকের বেঁধে দেওয়া সীমার (২ থেকে ৬ শতাংশ) মধ্যে থাকল খুচরো পণ্যের মূল্যবদ্ধির হার।
জাতীয় পরিসংখ্যান বিভাগের প্রকাশিত তথ্য জানাচ্ছে, বাজারে খাদ্যপণ্য-সহ বিভিন্ন নিত্যপ্রয়োজনীয় জিনিসের দাম কমেছে, এর ফলেই মূল্যবৃদ্ধির সূচক নিম্নগামী। গত অক্টোবরে খুচরে মূল্যবৃদ্ধির হার ছিল ৬.৭৭ শতাংশ। যা নভেম্বর মাসে কমে হয় ৫.৮৮ শতাংশ। উল্লেখ্য, ১১ মাস পর মূল্যবৃদ্ধির হারে এতখানি পতন হয়েছিল। উল্লেখ্য, গত মে, জুন ও জুলাই মাসেও খুচরো মূল্যবৃদ্ধি নিম্নগামী ছিল। অগস্ট মাসে তা রিজার্ভ ব্যাংকের (Reserve Bank of India) বেঁধে দেওয়া সীমার (২ থেকে ৬ শতাংশ) উপরে ওঠায় আবার সুদের হার বৃদ্ধির সম্ভাবনা তৈরি হয়েছিল। গত জুলাইয়ের ৬.৬৯ শতাংশ থেকে অগস্টে তা বেড়ে ৭.৬২ শতাংশ হয়েছিল। সেপ্টেম্বরে আরও বেড়ে হয়েছিল ৭.৪১ শতাংশ। অর্থাৎ গত নভেম্বরে বেশ কয়েক মাসের ব্যবধানে রিজার্ভ ব্যাংকের বেঁধে দেওয়া সীমার (২ থেকে ৬ শতাংশ) মধ্যে ছিল খুচরো পণ্যের মূল্যবদ্ধি। সুখের খবর, ডিসেম্বরেও তাই রইল।
অন্যদিকে নভেম্বরে পাইকারি পণ্যের (Wholesale Inflation) মূল্যবৃদ্ধির হার হয়েছিল ৫.৮৫ শতাংশ। যা গত ২১ মাসে সবচেয়ে কম ছিল। খাদ্যপণ্য, জ্বালানি ও উৎপাদন ক্ষেত্রের মূল্যবৃদ্ধি নিয়ন্ত্রণে থাকায় পাইকারি মূল্যবৃদ্ধির হার কমেছিল। ১৯ মাস পর গত অক্টোবরে পাইকারি মূল্যবৃদ্ধির হার কমে হয়েছিল ৮.৩৯ শতাংশ। ২০২১ সালের নভেম্বরে যা ১৪.৮৭ শতাংশ পর্যন্ত পৌঁছে গিয়েছিল। কেন্দ্রের শিল্প ও বাণিজ্যমন্ত্রক জানিয়েছে, “খাদ্য সামগ্রী, মৌলিক ধাতু, টেক্সটাইল, রাসায়নিক এবং রাসায়নিক পণ্য এবং কাগজ ও কাগজজাত পণ্যের দাম কমাই ২০২২ সালের নভেম্বরে মূল্যবৃদ্ধির হার হ্রাস পাওয়ার অন্যতম কারণ।”
নভেম্বর ও ডিসেম্বরের মূল্যবৃদ্ধির হারে পতন আরবিআইয়ের রেপো রেটে কোনও প্রভাব ফেলে কিনা সেটাই এখন দেখার। কারণ তার আগের গত কয়েক মাসের মূল্যবৃদ্ধির প্রভাব পড়েছে আরবিআইয়ের (RBI) রেপো রেটে। এর আগে ৩৫ বেসিস পয়েন্ট রেপো রেট বাড়ানোর কথা ঘোষণা করেছিল রিজার্ভ ব্যাংক। আরবিআইয়ের গভর্নর শক্তিকান্ত দাস (Shaktikanta Das) জানান, এর ফলে রেপো রেট (Repo Rate) বৃদ্ধির হার ৬.২৫ শতাংশে গিয়ে দাঁড়াল। এর ফলে গাড়ি বা গৃহঋণের ইএমআই (EMI) আরও বাড়বে বলেই মনে করা হচ্ছে। সেই সঙ্গে বাড়তে পারে অন্যান্য ঋণের ইএমআইও। এখন দেখার নভেম্বরে খুচরো ও পাইকারি মূল্যবৃদ্ধির হার কমায় তার কতটা প্রভাব পড়ে বাজারে।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2024 Pratidin Prakashani Pvt. Ltd. All rights reserved.