Advertisement
Advertisement

Breaking News

রেল

করোনা মোকাবিলায় নেই পর্যাপ্ত স্বাস্থ্যকর্মী, হোয়াটসঅ্যাপের মাধ্যমেই কর্মী নিয়োগ রেলের

বেশ কয়েকটি হাসপাতালকে কোভিড-১৯ চিকিৎসা কেন্দ্রে পরিণত করেছে রেল।

Now Railways recruiting health workers via whatsapp
Published by: Monishankar Choudhury
  • Posted:April 20, 2020 1:59 pm
  • Updated:April 20, 2020 1:59 pm  

সুব্রত বিশ্বাস: করোনা মোকাবিলায় অসংখ্য হাসপাতালকে কোভিড-১৯ চিকিৎসা কেন্দ্রে পরিণত করেছে রেল। তবে পর্যাপ্ত সংখ্যক স্বাস্থ্যকর্মী না থাকায় শুরু হয়েছে নিয়োগ প্রক্রিয়া। কিন্তু চিকিৎসক ও স্বাস্থ্যকর্মী চেয়ে বিজ্ঞাপন দিয়েও দশ শতাংশ কর্মী পাচ্ছে না রেল।

[আরও পড়ুন: তেলেঙ্গানায় ৭ মে পর্যন্ত বাড়ল লকডাউনের মেয়াদ, মন্ত্রিগোষ্ঠীর বৈঠকে সিদ্ধান্ত মুখ্যমন্ত্রীর]

লিলুয়া রেল হাসপাতালে করোনার চিকিৎসা শুরু হওয়ার পর ৩০ জন নার্স ও ১০ জন এটেন্ডেন্ট চেয়ে মাত্র দশ শতাংশ কর্মী পেয়েছে কর্তৃপক্ষ। হাওড়া অর্থোপেডিক হাসপাতালের অবস্থা প্রায় একই রকম। সংকটময় পরিস্থিতিতে কর্মী নিয়োগ উপযুক্ত সংখ্যায় না হওয়ায় উদ্বিগ্ন রেলের স্বাস্থ্যবিভাগ। চাকরি প্রার্থীরা আসছেন না বলে ওই দপ্তর সূত্রে জানা গিয়েছে। পূর্ব-রেলের মেনস ইউনিয়নের সাধারণ সম্পাদক অমিত ঘোষ বলেন, কন্ট্রাক্টচুয়াল হিসাবে রেল যে টাকা দেবে তাতে এই পরিস্থিতিতে কেউ কাজ করতে আগ্রহী নয়। যদিও স্বাস্থ্যদপ্তর জানিয়েছে, এই চুক্তিতে যথেষ্ট পারিশ্রমিক দেওয়া হচ্ছে।

Advertisement

পূর্ব-রেল সরাসরি সামাজিক দূরত্ব রেখে ইন্টারভিউ নিয়ে নিয়োগ ব্যবস্থা করলেও ওয়েস্টার্ন রেল হোয়াটসঅ্যাপের মাধ্যমে ইন্টারভিউ নিয়েছে। এভাবে ১২৬ জন প্যারামেডিক্যাল কর্মী নিয়োগ করেছে তারা। যার মধ্যে ৭৫ জন নার্স ও ৫১ জন এটেন্ডেন্ট। মহারাষ্ট্রে কোরোনা আক্রান্তের সংখ্যা বাড়ায় জগজীবন রাম হাসপাতালকে করোনা চিকিৎসা কেন্দ্রে পরিণত করা হয়েছে। সেখানে করোনা সন্দেহে ভরতি ৫১ জনের মধ্যে ৪৪ জনের রিপোর্ট পজিটিভ এসেছে। তাঁদের অনেকেই রেলকর্মী। ডাক্তার, নেতা, পুলিশ, স্বাস্থ্যকর্মী, নৌসেনা জওয়ান, এখন দুই আরপিএফ জাওয়ানও করোনা আক্রান্ত হয়ে হাসপাতালে ভরতি। দুই আরপিএফ আক্রান্ত হওয়ার পর তাঁদের চিকিৎসায় গাফিলতির অভিযোগ উঠেছে। প্রথম আরপিএফ জওয়ান জ্বর-কাশি নিয়ে নায়ার হাসপাতালে গেলে চিকিৎসক ওষুধ দিয়ে বাড়ি পাঠিয়ে দেন। পরে বাড়াবাড়ি হলে জগজীবন রাম হাসপাতালে গেলে ওষুধ দিয়ে বাড়ি পাঠিয়ে দেওয়া হয়। এরপর বাড়াবাড়ি চূড়ান্ত পর্যায়ের গেলে ওই হাসপাতালে পরীক্ষা করে করোনা পজিটিভ দেখা যায়। অন্য আরপিএফ জওয়ানকে দু’বার ফিরিয়ে দেওয়ার পর পরীক্ষায় রিপোর্ট পজিটিভ আসে। পূর্ব-রেলে এর আগে আসানসোলের এক ট্রেনচালক করোনা আক্রান্ত হন। পূর্ব-রেল ও এনএফ রেলে দু’জন মারাও যান এই ভাইরাসের প্রকোপে।

[আরও পড়ুন: বেড়াতে এসে লকডাউনে বিপাকে রুশ দম্পতি, পুলিশের তৎপরতায় পাহাড়ের চূড়া থেকে উদ্ধার]

Sangbad Pratidin News App

খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ

Advertisement