এতদিন রেলযাত্রায় রাত ৯টা থেকে ভোর ৬টা পর্যন্ত ঘুমানো যেত। কিন্তু রেলের এই নয়া নির্দেশিকায় বলা হয়েছে, ‘সংরক্ষিত কামরায় ঘুমানোর ব্যবস্থা থাকলে রাত ১০টা থেকে সকাল ৬টা পর্যন্ত ঘুমানো যাবে। বাকি সময়টুকু যাত্রীদের বসার জন্য ব্যবস্থা রাখতে হবে।’ যদিও এই নির্দেশিকায় কিছু ব্যতিক্রমও রাখা হয়েছে। তবে সেক্ষেত্রে সহযাত্রীদের অনুরোধ করা যেতে পারে। কোনও স্পষ্ট নির্দেশিকা নেই এই বিষয়ে। নির্দিষ্ট সময়ের বাইরে কেউ ঘুমাতে চাইলে সহযাত্রীকে নিজের বার্থে উঠে যাওয়ার অনুরোধ করতে পারেন গর্ভবতী মহিলা, প্রতিবন্ধীরা। তবে পালটা মতও রয়েছে। দিল্লি-কলকাতা প্রায়ই যাতায়াত করেন এমন এক যাত্রী বলছেন, ‘লোয়ার বার্থের যাত্রী গোটা যাত্রাপথটাই ঘুমিয়ে কাটালেন। তাঁর জন্য আমার আর এক মুহূর্তও বসে রেল সফরটা উপভোগ করা হল না।
কিন্তু রেলের সামগ্রিক নিরাপত্তার দিকে নজর না দিয়ে আচমকা যাত্রীদের ঘুমানোর উপর খাঁড়া নেমে এল কেন? যাত্রীদের স্বাচ্ছ্যন্দের দিকে নজর না দিয়ে, রেলের নোংরা বালিশ-চাদর-শৌচাগার সাফসুতরো রাখা ছেড়ে কর্তৃপক্ষ কেন ঘুমের পিছনে পড়লেন? এর জবাবে এক রেলকর্তা জানাচ্ছে, দূরপাল্লার যাত্রায় লোয়ার ও মিডল বার্থের সঙ্গে অপার বার্থের যাত্রীর প্রায়ই ঝগড়া বেধে যায় ঘুমানো নিয়ে। যাঁরা নিচের বার্থে বসেন, তাঁরা ঘুমালে উপরের বার্থের যাত্রীদের বসার জায়গা থাকে না। তাই না চাইলেও তাঁদেরও শুয়ে পড়তে হয়। এই প্রবণতায় রাশ টানতেই এই নয়া নির্দেশিকা বলে জানাচ্ছেন তিনি। রেলের নয়া নির্দেশ ঠিকমতো মানা হচ্ছে কি না, সেটা দেখতে ট্রাভেলিং টিকিট অপারেটর বা টিটিই মাঝেমধ্যেই নজরদারি চালাবেন।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2024 Pratidin Prakashani Pvt. Ltd. All rights reserved.