স্টাফ রিপোর্টার, নয়াদিল্লি : শীঘ্রই অযোধ্যায় রামমন্দির (Ram Mandir)দর্শন করতে যেতে পারেন রাহুল গান্ধী (Rahul Gandhi)। সোমবার বিকেলের দিকে হঠাৎ করেই এই খবরকে কেন্দ্র করে শুরু হয় শোরগোল। জানা গিয়েছে সম্প্রতি রাহুল গান্ধীর মুখ্য পরামর্শদাতা এবং রাজীব গান্ধী ফাউন্ডেশনের সিইও বিজয় মহাজন অযোধ্যায় গিয়ে কয়েকজন সাধুর সঙ্গে সাক্ষাৎ করেন। যাঁদের মধ্যে ছিলেন রামমন্দিরের প্রধান পুরোহিত আচার্য সত্যেন্দ্র দাস। প্রায় আধ ঘণ্টা কথা হয় দু’জনের মধ্যে।
সূত্রের খবর, তাঁদের সঙ্গে দেখা করে রাহুল গান্ধীর অযোধ্যা সফর সংক্রান্ত নানা বিষয়ে আলোচনা করেন বিজয়। যার মধ্যে অন্যতম হল, রামমন্দির দর্শনে এসে রাহুলের নিরাপত্তা। জানা গিয়েছে, প্রায় সব সাধুই জানিয়েছেন, রামমন্দির এলাকায় রাহুলের সফর চলাকালীন কোনওরকম অনভিপ্রেত ঘটনার সম্ভাবনা নেই।
এদিন মন্দির নির্মাণ কমিটির চেয়ারম্যান নৃপেন্দ্র মিশ্র জানান, চলতি বছর ডিসেম্বরের মধ্যে চারতলা মন্দিরের একতলার কাজ শেষ হয়ে যাবে। ২২ জানুয়ারি হবে মূর্তির প্রাণ প্রতিষ্ঠা। ২০-২৪ তারিখ অনুষ্ঠানের কোনও একদিন আসতে পারেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। তার আগে ১৫ জানুয়ারি থেকে শুরু হতে চলা ১০ দিনের বিরাট সমারোহের পূর্বে রাম মন্দির দর্শনে যেতে পারেন রাহুল।
এই প্রসঙ্গে কংগ্রেস সাংসদ বা তাঁর দলের তরফে কোনও বক্তব্য পাওয়া না গেলেও আচার্য সত্যেন্দ্র দাস জানিয়েছেন, “ভগবান শ্রীরাম কোনও একজনের বা একটি দলের নয়। তাঁর প্রতি বিশ্বাসী, অনুরাগী প্রত্যেকের। তাঁর দর্শন করতে দেশ-বিদেশ থেকে যে কেউ আসতে পারেন। রাহুল গান্ধীও। উনি যদি আসতে চান, তবে স্বাগত। এখানে কোনওরকমের সমস্যাই হবে না। শুধু তিনি কেন, যে কোনও দর্শনার্থীকেই দর্শনের পর যোগ্য সম্মান দেওয়া হবে।”
এদিকে, নৃপেন্দ্র মিশ্র আরও জানান যে, মন্দিরের ‘শিখরে’ এমন একটি যন্ত্র স্থাপন করা হবে যার সাহায়্যে প্রতি বছর রাম নবমীর দিনে গর্ভগৃহে দেবতার কপালে সূর্যের রশ্মি এসে পড়বে। এমন একটি যন্ত্রের নকশা তৈরির কাজ চলছে। এটি বেঙ্গালুরুতে নির্মিত হচ্ছে এবং এর নকশা তত্ত্বাবধান করছেন বিজ্ঞানীরা। সেন্ট্রাল বিল্ডিং রিসার্চ ইনস্টিটিউট, রুরকি এবং পুনের একটি ইনস্টিটিউট যৌথভাবে এর জন্য একটি কম্পিউটারাইজড প্রোগ্রাম তৈরি করেছে বলে মিশ্র জানিয়েছেন।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2024 Pratidin Prakashani Pvt. Ltd. All rights reserved.