সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: জ্ঞানবাপী মসজিদের (Gyanvapi Mosque) মতোই বিতর্কের কেন্দ্রে মথুরার (Mathura) শাহি ঈদগাহ মসজিদ (Shahi Idgah Mosque)। এবার সেখানেও জ্ঞানবাপীর ধাঁচে ‘বৈজ্ঞানিক সমীক্ষার’ দাবি উঠল। শীর্ষ আদালতে এই আবেদন জানালেন হিন্দুত্ববাদীরা। তাদের দীর্ঘদিনের দাবি, কৃষ্ণজন্মভূমি চত্বরেই রয়েছে শাহি ঈদগাহ মসজিদ। সেখানে হিন্দুত্বের একাধিক প্রমাণ রয়েছে। এদিন শ্রীকৃষ্ণ জন্মভূমি মুক্তি নির্মাণ ট্রাস্টের তরফে সুপ্রিম কোর্টে আবেদন করা হয়েছে, ভারতীয় পুরাতত্ত্ব সর্বেক্ষণের বিশেষজ্ঞদের মাধ্যমে ‘বৈজ্ঞানিক সমীক্ষা’ করা হোক। তাতেই সত্য স্পষ্ট হবে।
ইতিহাসবিদদের একাংশের দাবি, প্রাচীন কেশবনাথ মন্দির ভেঙে শাহি ঈদগাহ মসজিদটি তৈরি করেছিলেন ঔরঙ্গজেব। ১৯৩৫ সালে ওই মন্দির চত্বরের মালিকানা মথুরার রাজার হাতে সঁপে দেয় এলাহাবাদ হাই কোর্ট (Allahabad High Court)। পর্যায়ক্রমে সেই স্বত্ব বর্তায় বিশ্ব হিন্দু পরিষদের ঘনিষ্ঠ শ্রী কৃষ্ণভূমি মুক্তি নির্মাণ ট্রাস্টের হাতে। ফলে স্বাভাবিকভাবেই দুই ধর্মের মানুষের মধ্যে তৈরি হয় সংঘাত। অবশেষে ১৯৬৮ সালে এক চুক্তির মাধ্যমে জমির মালিকানা হিন্দুদের হাতে থাকলেও মসজিদটির রক্ষণাবেক্ষণ করার অধিকার পায় মুসলিম পক্ষ।
উল্লেখ্য, মথুরার শাহি ঈদগাহ মসজিদে সার্ভের নির্দেশ দিয়েছিল উত্তরপ্রদেশের একটি নিম্ন আদালত। যদিও উচ্চ আদালতের নির্দেশে স্থগিত হয়। সোমবার শীর্ষ আদালতের শুনানিতে হিন্দুত্ববাদীদের তরফে বলা হয়, ‘ওই বিতর্কিত এলাকার ধর্মীয় পরিচয় সম্পর্কে নিঃসংশয় হওয়ার জন্য বৈজ্ঞানিক সমীক্ষা প্রয়োজন। মামলার প্রকৃতি খতিয়ে দেখে বিষয়টি শীর্ষ আদালতের বিচারাধীন থাকবে কি না, তা বিবেচনা করা হতে পারে বলে শীর্ষ আদালত জানিয়েছে।
প্রসঙ্গত, ‘বাবরি তো ঝাকি হ্যায়, মথুরা কাশী বাকি হ্যায়।’ নয়ের দশকে করসেবকদের এই হুঙ্কার ভোলার নয়। মথুরা ও কাশী নিয়ে হিন্দুত্ববাদীদের নানা দাবি এর আগেও শোনা গিয়েছে। ‘অল ইন্ডিয়া আখড়া পরিষদ’কে বলতে শোনা গিয়েছিল, রাম মন্দিরের নির্মাণ শেষ হলে মথুরা ও কাশীর মন্দিরগুলিকে ‘মুক্ত’ করা হবে। সেই পথেই শ্রীকৃষ্ণ জন্মভূমি মুক্তি নির্মাণ ট্রাস্ট।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2024 Pratidin Prakashani Pvt. Ltd. All rights reserved.