ফাইল ফটো
সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: সম্মুখ সমরে নামার ক্ষমতা নেই। তাই বরাবরই ভারতের বিরুদ্ধে ছায়াযুদ্ধ চালিয়ে আসছে পাকিস্তান। এবার সেই লড়াইয়ে মারণ করোনা ভাইরাসকে হাতিয়ার করেছে পড়শি দেশটি। পাকিস্তানের এই কৌশলকে ‘করোনা জেহাদ’ নাম দিয়েছেন সামরিক বিশেষজ্ঞদের একাংশ।
জম্মু-কাশ্মীরের ডিজিপি দিলবাগ সিং জানিয়েছেন, করোনা আক্রান্তদের কাশ্মীর উপত্যকায় পাঠিয়ে ভারতে কোভিড-১৯ জীবাণু আরও ছড়িয়ে দেওয়ার চেষ্টা করছে ইসলামাবাদ।বুধবার শ্রীনগর থেকে ২০ কিলোমিটার দূরে গান্ধেরওয়ালের একটি কোয়ারেন্টাইন সেন্টার পরিদর্শনে যান পুলিশ প্রধান। সেখানেই তিনি বলেন, “সম্প্রতি আমরা জানতে পেরেছি যে পাকিস্তান করোনা আক্রান্তদের কাশ্মীরে পাঠানোর চেষ্টা করছে। এতদিন পর্যন্ত, পাকিস্তান জঙ্গিদের এদেশে পাঠাত। কিন্তু এখন তারা করোনা ভাইরাসে আক্রান্তদের এখানে রপ্তানি করছে। বিষয়টি অত্যন্ত উদ্বেগের যদিও ভয় পাওয়ার কিছু নেই, আমরা সতর্ক আছি।”
সম্প্রতি কেন্দ্রীয় গোয়েন্দারা সেনাবাহিনীকে একটি রিপোর্ট পাঠিয়েছেন। সেই রিপোর্টে বলা হয়েছে, কয়েকজন কোভিড-১৯ আক্রান্তকে সম্প্রতি পাক অধিকৃত কাশ্মীরে পাঠানো হয়েছে। সেখানে তাদের শিখিয়ে পড়িয়ে ভারতে প্রবেশ করানোর চক্রান্ত চলছে। পাক অধিকৃত কাশ্মীরে বর্তমানে করোনা আক্রান্তের সংখ্যা ৫০ ছাড়িয়েছে। যার মধ্যে অধিকাংশই মিরপুরের। এদিকে, ভারতের বিরুদ্ধে সমানভাবে ‘সাইবার লড়াই’ চালাচ্ছে পাকিস্তান। বুধবার সাউথ ব্লকে জমা পড়া একটি রিপোর্টে দেখা গিয়েছে, সোশ্যাল মিডিয়ায় ভারত এবং প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির বিরূপ চিত্র উপস্থাপন করে জনমত সংগ্রহের অভিযান চলছে পাকিস্তানে। শুধু পাকিস্তান নয়, পশ্চিমের বিভিন্ন মুসলিম রাষ্ট্রগুলিতে প্রধানমন্ত্রীকে ‘মুসলিম বিরোধী’ হিসেবে তুলে ধরে লাগাতার প্রচার চলছে।
উল্লেখ্য, এপর্যন্ত পাকিস্তানে করোনায় আক্রান্ত প্রায় ১১ হাজার মানুষ। এই মারণ রোগের কবলে পড়ে প্রাণ হারিয়েছেন ২৩৭ জন। করোনা ভাইরাসের হামলায় বিপন্ন পাকিস্তানের অর্থনীতি। বিদেশি মুদ্রার তহবিল প্রায় শূন্য। পাশাপাশি, দেখা দিয়েছে খাদ্য সংকট। এহেন সময়ে বিশ্বের কাছে বকেয়া ঋণ মকুব এবং আর্থিক মদতের আরজি জানিয়েছিলেন পাক প্রধানমন্ত্রী ইমরান খান। তাতে সম্প্রতি সাড়া দিয়েছে আন্তর্জাতিক অর্থভাণ্ডার বা IMF। করোনার জেরে উৎপন্ন আর্থিক সঙ্কট মোকাবিলায় প্রায় ১৪০ কোটি মার্কিন ডলার মঞ্জুর করেছে তারা।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2024 Pratidin Prakashani Pvt. Ltd. All rights reserved.