সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: প্রাক্তন প্রধান বিচারপতি রঞ্জন গগৈকে রাজ্যসভার সদস্য মননীত করেছেন রাষ্ট্রপতি। কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্র মন্ত্রকের সুপারিশেই এই সিদ্ধান্ত নিয়েছেন রামনাথ কোবিন্দ। গগৈয়ের মনোনয়ন নিয়ে ইতিমধ্যেই উত্তপ্ত হয়ে উঠেছে জাতীয় রাজনীতি। বিরোধীরা একযোগে সরকারের এই সিদ্ধান্তের বিরোধিতা করেছেন। শুধু বিরোধীরা নয়, বিচারব্যবস্থার মধ্যে থেকেও এই সিদ্ধান্তের বিরোধিতা হচ্ছে। বিচারপতি গগৈয়ের রাজ্যসভা মনোনয়নের বিরোধিতায় সরব হয়েছেন তাঁরই একসময়ের সহকর্মী তথা প্রাক্তন বিচারপতি মদন লোকুর(Madan Lokur)।
বিরোধীদের অভিযোগ, বিচারপতি থাকাকালীন সরকারকে সুবিধা পাইয়ে দিয়েছেন গগৈ(Ranjan Gogoi)। আর এখন তারই পুরস্কার পাচ্ছেন। মদন লোকুর সরাসরি সেকথা না বললেও, তাঁর ইঙ্গিতও খানিকটা তেমনই। তাঁর প্রশ্ন, “শেষ দুর্গটাও কি ভেঙে পড়ল?” বিচারপতি মদন লোকুর বলছেন,”অনেক দিন ধরেই জল্পনা চলছি বিচারপতি গগৈ কী পুরস্কার পেতে চলেছেন, তা নিয়ে। সেদিক থেকে দেখতে গেলে রাজ্যসভার এই মনোনয়ন একেবারেই অবাক করার মতো বিষয় নয়। তবে, এটা যে এত তাড়াতাড়ি হল সেটাই অবাক করার বিষয়। এর ফলে বিচারব্যবস্থার স্বাধীনতা, নিরপেক্ষতা এবং সংহতি নতুন সংজ্ঞা পেল। শেষ দুর্গটাও কি ভেঙে পড়ছে?” এই মন্তব্যের মাধ্যমে যে আসলে বিচারপতি লোকুর ঘুরিয়ে গগৈয়ের নিরপেক্ষতা নিয়েই প্রশ্ন তুললেন, তা বলার অপেক্ষা রাখে না।
বছর দুই আগেই গগৈ এবং বিচারপতি মদন লোকুর-সহ চার বিচারপতি একসঙ্গে ভারতীয় বিচার ব্যবস্থার বিরুদ্ধে সরব হয়েছিলেন। তৎকালীন প্রধান বিচারপতি দীপক মিশ্রর বিরুদ্ধে মামলা বাছাইয়ের ক্ষেত্রে পক্ষপাতিত্বের অভিযোগ তুলে বেনজিরভাবে সাংবাদিক বৈঠক করেন তাঁরা। একাধিক যুক্তি তুলে তাঁরা বুঝিয়ে দিয়েছিলেন, যা চলছে তাতে গণতন্ত্র বিপন্ন হচ্ছে। বিচারব্যবস্থার প্রতি ক্রমশ আস্থা হারাবেন দেশবাসী। সেই সাংবাদিক বৈঠকে নাম না করে তৎকালীন প্রধান বিচারপতির পাশাপাশি কেন্দ্রের বিরুদ্ধেও তোপ দাগেন তাঁরা। বিচারপতি গগৈ এবং বিচারপতি লোকুর ছাড়াও সেই সাংবাদিক বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন বিচারপতি জে চেলমেশ্বর এবং বিচারপতি কুরিয়েন জোশেফ। গগৈয়ের এই মনোনয়ন নিয়ে বিচারপতি চেলামেশ্বর(Jasti Chelameswar) অবশ্য কোনও মন্তব্য করতে চাননি।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2024 Pratidin Prakashani Pvt. Ltd. All rights reserved.