সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: দিল্লির ছাওয়ালা ধর্ষণ কাণ্ডের (Chhawla Rape Case) এক দশক পরে আসামিদের বেকসুর খালাস করেছে সুপ্রিম কোর্ট (Supreme Court)। রায়দানের পরে নির্যাতিতার পরিবারের সদস্য ও বেশ কয়েকজন সমাজকর্মীকে বিক্ষোভ দেখাতে দেখা গিয়েছিল সুপ্রিম কোর্ট চত্বরে। ‘সুপ্রিম’ রায়ের পর্যালোচনা চাইবেন, জানিয়েছিলেন মৃতার পরিবার। তার আগেই শীর্ষ আদালতের রায় পুনর্বিবেচনার আরজি জানাতে চলেছে দিল্লি সরকার (Delhi Government)। ইতিমধ্যে এই বিষয়ে দিল্লির উপরাজ্যপাল ভিকে সাক্সেনা অনুমতি দিয়েছেন বলে জানা গিয়েছে।
২০১২ সালের ফেব্রুয়ারি মাসে হরিয়ানার (Haryana) রিওয়ারি জেলায় একটি ফাঁকা মাঠে উদ্ধার হয় ১৯ বছরের তরুণীর বিকৃত দগ্ধ দেহ। তরুণীর পরিবারের দাবি, একদিন আগে অপহরণ করা হয় তাঁকে। অপহরণের করে ধর্ষণ করা হয়। পরে খুনে করে রিওয়ারির ওই ফাঁকা মাঠে ফেলে দেওয়া হয়। নৃশংস ঘটনায় অভিযুক্ত হন রবি কুমার, রাহুল এবং বিনোদ নামের তিন যুবক। ২০১৪ সালের ফেব্রুয়ারিতে দিল্লির একটি আদালত অপহরণ, ধর্ষণ এবং হত্যার ঘটনায় দোষী সাব্যস্ত করে তিন জনকে। আদালত তাদের মৃত্যুদণ্ড দেয়। দিল্লি হাই কোর্ট এই রায়কে সমর্থন করে। হাই কোর্ট মন্তব্য করে, দোষীরা ভয়ংকর ‘শিকারী’।
অভিযুক্তরা হাই কোর্টের রায়কে চ্যালেঞ্জ করে সাজা কমাতে সুপ্রিম কোর্টে আবেদন করেছিলেন। এরপরই তাদের বেকসুর খালাস করে দেশের শীর্ষ আদালত। সেই সময় বিচারকরা জানান, উপযুক্ত প্রমাণের অভাবে মুক্তি দেওয়া হয়েছে দোষীদের। শুধুমাত্র সন্দেহের বশে তাঁদের মৃত্যদণ্ড দেওয়া হয়েছিল।
স্বভাবতই এই রায় মানতে পারেনি নির্যাতিতার পরিবার। সংবাদমাধ্যমকে ধর্ষিতা নিহত তরুণীর মা দাবি করেছিলেন, তাঁরা এর আগে আদালতের রায়ে ন্যায় পেয়েছিলেন। কিন্তু সুপ্রিম কোর্টের রায় তাঁদের কাছে একটা বড় ধাক্কা। তাঁর কথায়, ”১০ বছরের লড়াইয়ের পর আমাদের সঙ্গে যা হল তা ন্যায় নয়।”
এরপর নিয়ম অনুযায়ী রায় পুনর্বিবেচনার আর্জি জানাবেন বলে ঠিক করেছিলেন নির্যাতিতার পরিবারের সদস্যরা। যদিও তার আগে এই বিষয়ে আইনে লড়াইয়ে নামতে চলেছে খোদ দিল্লি সরকার। ইতিমধ্যে ছাওয়ালা ধর্ষণ কাণ্ডের মামলা করার বিষয়ে অনুমোদন দিয়েছেন দিল্লির উপরাজ্যপাল ভিকে সাক্সেনা। সূত্রের খবর, সলিসিটার জেনারেল তুষার মেহতা দিল্লি সরকারের হয়ে মামলাটি লড়বেন।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2024 Pratidin Prakashani Pvt. Ltd. All rights reserved.