সংবাদ প্রতিদিন ডিজিডাল ডেস্ক: বেশ কিছুদিন ধরেই বিরোধীরা অভিযোগ তুলছেন, সিলেবাস বদলে শিক্ষার গৈরিকীকরণ শুরু করছে মোদি সরকার। এবার সরাসরি বৈদিক শিক্ষার প্রচার ও প্রসারে উদ্যোগী হল কেন্দ্র। জাতীয় শিক্ষা নীতির আওতাতেই এই উদ্যোগ। এর জন্য বেদ-ভিত্তিক শিক্ষা বোর্ড (Veda-based Education Board) গঠন করতে চলেছে শিক্ষা মন্ত্রক।
জানা গিয়েছে, অন্য বোর্ডগুলির মতোই কাজ করবে এই বৈদিক বোর্ড। নয়া বোর্ড গঠন প্রক্রিয়ার দায়িত্বে থাকবেন সংস্কৃত ভাষা বিশেষজ্ঞ ও বৈদিক গণিতজ্ঞ। উল্লেখ্য, বর্তমান কোনও স্বীকৃত বোর্ডের পাঠক্রমে বৈদিক পড়শোনার সুযোগ নেই। মন্ত্রক ইচ্ছুকদের বৈদিক পড়াশোনার সুযোগ করে দিতে চায়। যেখানে মিলবে অন্য বোর্ডগুলির মতো ডিগ্রি। সেই কারণেই জাতীয় শিক্ষা নীতির আওতায় ভারতের ঐতিহ্যশালী বৈদিক ব্যবস্থাকে আধুনিক শিক্ষা ব্যবস্থার সঙ্গে যুক্ত করতে চায় কেন্দ্র। অন্যতম উদ্দেশ্য, আধুনিক সমাজে বেদ পাঠের প্রাসঙ্গিকতা বজায় রাখা।
বর্তমানে মহাঋষী সন্দীপনী প্রতিষ্ঠান (Maharishi Sandipani Pratishthan) ৬ হাজর শিক্ষার্থীকে বৈদিক শিক্ষা দেয়। বোর্ড গঠন করে এই শিক্ষার্থীর সংখ্যা বাড়াতে চায় কেন্দ্র। এই বিষয়ে কেন্দ্রীয় শিক্ষামন্ত্রী ধর্মেন্দ্র প্রধান (Dharmendra Pradhan) বলেন, “বর্তমান যুগে বেদ পাঠকে প্রাসঙ্গিক করে তুলতেই বৈদিক শিক্ষা বোর্ড গঠন করবে মন্ত্রক। বেদ ভারতের সংস্কৃতির ভিত্তি।”
কেন্দ্র সিদ্ধান্ত নিয়েছে, আপাতত পাঁচটি বেদ বিদ্যাপীঠ গড়ে তোলা হবে। যার নেতৃত্ব দেবে মহাঋষী সন্দীপনী প্রতিষ্ঠান। বিদ্যাপীঠগুলি গড়ে তোলা হবে চার ধাম ও কামাক্ষা দেবী মন্দিরে। বেদ বিশেষজ্ঞ বেদ শংকরলাল চতুর্বেদী বলেন, জাতীয় শিক্ষা নীতির অধীনে বেদ শিক্ষা ভারতের ঐতিহ্যগত জ্ঞানকে এগিয়ে নিয়ে যাওয়ার ক্ষেত্রে একটি গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করতে পারে। বেদ শিক্ষা কোন ধর্মীয় বিষয় নয়, বরং এতে রয়েছে উন্নত জীবন যাপনের জ্ঞান ও বিজ্ঞান।
প্রসঙ্গত, কিছুদিন আগেই ‘মন কি বাত’ অনুষ্ঠানে বৈদিক শিক্ষার প্রসঙ্গ তোলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি (Narendra Modi)। তিনি দাবি করেন, বৈদিক গণিত শিখলে শিশুদের অঙ্ক নিয়ে ভয় কেটে যাবে। বলেন, বৈদিক গণিত জানলে বড়সড় বৈজ্ঞানিক সমস্যারও সমাধান করা সম্ভব।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2025 Sangbad Pratidin Digital Pvt. Ltd. All rights reserved.