সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: ভোট টানতে রাজনৈতিক দলগুলির ‘রেউড়ি সংস্কৃতি’ নিয়ে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি (Narendra Modi) সরব হওয়ার পরেই সুপ্রিম কোর্ট (Supreme Court) ও নির্বাচন কমিশন (Election Commission) বিষয়টিতে হস্তক্ষেপ করেছে। এবার কম্পট্রোলার অ্যান্ড অডিটর জেনারেল (CAG) বিষয়টিতে গুরুত্ব দিচ্ছে। রাজনৈতিক দলগুলির ভোটের আগে দেওয়া ভরতুকি, বাজেট বহির্ভূত ঋণ, ছাড় বা ঋণ মকুবের প্রতিশ্রুতি রক্ষা করতে গিয়ে অর্থনীতিতে তার কী প্রভাব পড়ছে তা অনুসন্ধান করবে সিএজি। এমনকী, এই ব্যাপারে একটি ‘প্যারামিটারও’ তৈরি করবে তারা। একটি সর্বভারতীয় সংবাদমাধ্যমের প্রতিবেদনে এমনটাই দাবি করা হয়েছে। উল্লেখ্য, দেশের রাজনীতিতে এখন অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ ইস্যু হয়ে উঠেছে খয়রাতি। বিনামূল্যে অবাধে পরিষেবা দেওয়া বা সামাজিক কল্যাণ অর্থব্যয়– কোনটি খয়রাতি, তা নিয়ে বিতর্ক চলছে।
তাৎপর্যপূর্ণভাবে শনিবারই মধ্যপ্রদেশে একটি সমাবেশে ভারচুয়াল ভাষণে প্রধানমন্ত্রী মোদি পরোক্ষে এর ব্যাখ্যাও দিয়েছেন। তিনি বলেন, “যখন একজন করদাতা বুঝতে পারেন যে, তাঁর টাকা সঠিক কাজে ব্যবহার করা হচ্ছে, তাহলে তিনি খুশি হন। আজ তাঁরা খুশি, কারণ তাঁদের টাকা অন্য কয়েক কোটি মানুষ যাঁরা করোনায় বিপর্যস্ত, তাঁদের মুখে গ্রাস তুলে দিচ্ছে। তাঁরা বড়সড় পরিষেবা করছেন।” প্রধানমন্ত্রী ওইদিন মধ্যপ্রদেশের সাতনায় প্রধানমন্ত্রী আবাস যোজনার সুবিধাভোগীদের ‘গৃহপ্রবেশ’-এ অংশ নেন মোদি। প্রকল্পের অধীনে নির্মিত বাড়িগুলির উদ্বোধন করেন তিনি।
সূত্রের খবর, কয়েকদিন আগেই সিএজি গিরিশচন্দ্র মুর্মুর নেতৃত্বাধীন ২১ সদস্যের অডিট অ্যাডভাইজরি বোর্ডের বৈঠকে রাজ্যগুলির অর্থনৈতিক পরিস্থিতি নিয়ে আলোচনা হয়। করোনার পর থেকেই কয়েকটি রাজ্যের রাজস্ব থেকে আয় কমেছে। আগামী ছয় বছর রাজ্যগুলির ঋণ পরিশোধের বিষয়টি নিয়ে গুরুত্ব সহকারে আলোচনা হয়। সেখানেই খয়রাতি– নির্বাচনি প্রতিশ্রুতি রক্ষায় জনগণকে বিনামূল্যে টিভি, ল্যাপটপ, গ্রাইন্ডার, মিক্সার বিলানোর বিষয়টি নিয়েও আলোচনা হয়েছে।
এদিকে মোদির সাতনার সমাবেশে খয়রাতি মন্তব্য নিয়ে তাঁকে তুলোধোনা করেছেন প্রাক্তন কেন্দ্রীয় মন্ত্রী ও কংগ্রেস নেতা পি চিদম্বরম। টুইটারে তিনি লেখেন, “মাননীয় প্রধানমন্ত্রী বলেছেন, করদাতাদের টাকা খয়রাতির খাতে খরচ হয়। ভাল বলেছেন স্যার! তবে তাঁর এটাও বলা উচিত, গুজরাট বিধানসভা নির্বাচনের আগে বিনামূল্যে দুটি এলপিজি সিলিন্ডার দেওয়ার ঘোষণা কি খয়রাতি নয়?” আরেকটি টুইটে তিনি লিখেছেন, “তাঁর আরও বলা উচিত, ৫৭১টি সংস্থার ৫ লক্ষ ৩২ হাজার কোটি টাকার ঋণ মুছে ফেলা কি খয়রাতি নয়?তাঁর কাছে আরও একটি উদাহরণ রয়েছে, সেগুলি তিনি তুলে ধরতে পারতেন।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2024 Pratidin Prakashani Pvt. Ltd. All rights reserved.