সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: সারও সাম্প্রদায়িক! হিমন্তের কাণ্ডে হতবাক বিরোধীরা। ‘লাভ জেহাদ’ নয়, এবার ‘সার জেহাদ’-এর বিরুদ্ধে যুদ্ধ ঘোষণা করলেন অসমের (Assam) মুখ্যমন্ত্রী হিমন্ত বিশ্ব শর্মা (Himanta Biswa Sarma)। জানালেন এই বিষয়ে তাঁকে অনুপ্রাণিত করেছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি (PM Narendra Modi)। সেই মতোই এবার থেকে অসমে কৃষিকাজে জোর দেওয়া হবে জৈব সার ব্যবহারে। বাতিল করা হবে মানবদেহের জন্য ক্ষতিকারক ইউরিয়া, ফসপেটের মতো বিষাক্ত সারগুলিকে।
সম্প্রতি গুয়াহাটিতে একটি অনুষ্ঠান অংশ নেন হিমন্ত। সেখানেই জানান, নির্বাচনী প্রচারে ‘সার জেহাদে’র বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়ার কথা বলেছিল বিজেপি (BJP)। এবার সেই মতোই ব্যবস্থা নেওয়া হবে। তিনি বলেন, “গত এক বছরে একাধিক বৈঠকে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি অসমকে জৈব চাষে উৎসাহিত করেছেন। এই বিষয়ে আমরা সমীক্ষা চালিয়েছি। এই বিষয়ে বড়সড় সম্ভাবনা রয়েছে এরাজ্যে। আমরা যদি জমিতে জৈব সার ব্যবহার শিখি এবং তা ব্যবহার করি, তবে ইউরিয়া, ফসফেট, নাইট্রোজেন ইত্যাদির প্রয়োজন পড়ে না।”
হিমন্তের আরও দাবি, বিভিন্ন খাদ্য শস্যে অননুমোদিত সার ব্যবহারের ফলে অসমের মানুষের ক্ষতি হচ্ছে। হৃদযন্ত্র এবং কিডনির রোগ বেড়েছে রাজ্যে। এর থেকে মুক্ত হওয়ার একমাত্র উপায় জৈব সারে চাষ। যদিও হিমন্তের ‘সার জেহাদ’ নিয়ে কটাক্ষ করেছে কংগ্রেস (Congress। অসম প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি ভূপেন বোরার কটাক্ষ, “যখনই কোনও সমস্যায় পড়েন মুখ্যমন্ত্রী তখনই এমন একটা ইস্যু তোলেন, যাতে মানুষের চোখ অন্য দিকে ঘুরে যায়। সাম্প্রদায়িক রাজনীতির কৌশল ব্যবহার করেন হিমন্ত। অসমের সকলেই জানেন যে রাজ্য বিজেপির অভ্যন্তরে বড় দ্বন্দ্ব চলছে। বহু বিজেপি এবং আরএসএস নেতা মুখ্যমন্ত্রীর স্বৈরাচারী নীতির বিরুদ্ধে আওয়াজ তুলছেন।”
কংগ্রেস নেতা আরও জানান, কৃষিতে ক্ষতিকর সার নিয়ন্ত্রণ সরকারের কাজ। তা না করে সাম্প্রদায়িক রাজনীতির তাস খেলছেন হিমন্ত। আপ নেতা মনোজ ধানোয়ারের বক্তব্য, জৈব সারে চাষ ভাল কথা। এই বিষয়ে কারও আপত্তি থাকতে পারে না। কিন্তু এই বিষয়টিকে নিয়েও সাম্প্রদায়িক রাজনীতি করা অন্যায়। এক্ষেত্রে ‘জেহাদ’ শব্দের ব্যবহার অর্থহীন।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2024 Pratidin Prakashani Pvt. Ltd. All rights reserved.