সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: রাজনৈতিক সৌজন্য বলে একটা কথা আছে। কিন্তু পারস্পরিক আক্রমণের নেশায় সে কথাটি যেন ভুলেই থাকেন রাজনীতিবিদরা। সময়ে সময়ে বেগতিক দেখলে তার ডাক পড়ে। ক্ষমাসুন্দর পরিবেশ তখন দেখা দেয় রাজনীতির আঙিনায়। যেমনটা দেখা যাচ্ছে এখন দিল্লিতে। একের পর এক ইস্যুতে ক্ষমা চাইছেন মুখ্যমন্ত্রী অরবিন্দ কেজরিওয়াল।
[ পদ্ম হটাতে বদ্ধপরিকর শিব সেনা, মোদি মুক্ত ভারত গড়ার ডাক রাজ ঠাকরের ]
কেন্দ্রীয় মন্ত্রী নীতিন গড়কড়ির নামে বিষোদ্গার করেছিলেন কেজরিওয়াল। দেশের সবথেকে দুর্নীতিগ্রস্ত নেতা হিসেবে গড়কড়ির গায়ে কালি ছিটিয়েছিলেন কেজরি। এদিকে ভুয়ো অভিযোগের কারণে তো চটে লাল মন্ত্রী। মানহানির মামলা ঠুকে দিয়েছিলেন কেজরির নামে। একটু দেরিতে হলেও সৌজন্যে ফিরলেন দিল্লির মুখ্যমন্ত্রী। নীতিন গড়কড়ির কাছে ক্ষমা চেয়ে তিনি চিঠি দিয়েছেন। সেখানে তিনি জানিয়েছেন, না জেনেই একটা অভিযোগ তিনি কেন্দ্রীয় মন্ত্রীর নামে করেছিলেন। পুরো বিষয়ে তাঁর আরও নিশ্চিত হওয়া উচিত ছিল। কিন্তু যা হওয়ার হযে গিয়েছে। তিনি তাঁর কৃতকর্মের জন্য ক্ষমা চেয়ে নিচ্ছেন। কারণ মন্ত্রীর প্রতি ব্যক্তিগতভাবে তাঁর কোনও অসূয়া নেই। মন্ত্রীও যেন তাঁর মামলা তুলে নেন। এহেন চিঠি পাওয়ার পর আর রাজনৈতিক তিক্ততা জিইয়ে রেখে কোনও লাভ নেই। ফলে মামলা প্রত্যাখ্যান করে নেন গড়কড়ি। একটি অধ্যায়ের এখানেই সমাপ্তি।
[ কুমেরুতে ৪০৩ দিন কাটিয়ে নয়া নজির ইসরোর এই মহিলা বিজ্ঞানীর ]
তবে সম্প্রতি যেন ক্ষমা চাওয়ার মুডে আছেন কেজরিওয়াল। এর আগে গত সপ্তাহে পাঞ্জাবের মন্ত্রী বিক্রম মাজিতিয়ার কাছে ক্ষমা চেয়েছেন তিনি। ড্রাগ চক্রে মন্ত্রী জড়িত বলে অভিযোগ এনেছিলেন কেজরিই। সেখানেই শেষ নয়, কংগ্রেস নেতা কপিল সিবলের কাছেও তাঁর পূর্ববর্তী মন্তব্যের জন্য ক্ষমা চেয়েছেন কেজরিওয়াল। কপিল সিবল ক্ষমা করেও দিয়েছেন। কিন্তু কেন পরপর ক্ষমা চেয়ে বেড়াচ্ছেন কেজরি? রাজনীতিতে সচরাচর এরকম নমুনা দেখা যায় না। মামলার গেরো, নাকি সত্যিই রাজনৈতিক সৌজন্যের নমুনা রাখছেন দিল্লির মুখ্যমন্ত্রী? আপাতত তা নিয়েই জোর জল্পনা রাজনৈতিক মহলে।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2024 Pratidin Prakashani Pvt. Ltd. All rights reserved.