ফাইল ছবি
সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: জনজাতি গোষ্ঠীর অশান্তির আগুনে পড়ুছে মণিপুর (Manipur)। গোষ্ঠীহিংসার জেরে মৃত্যু হয়েছে ১১৫ জনের। ঘরছাড়া ৪০ হাজারেরও বেশি মানুষ। কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর সফরের পরেও থামেনি হিংসা। এই পরিস্থিতিতে উত্তপূর্বের রাজ্যে শান্তি ফেরাতে সর্বদলীয় বৈঠকের দাবি জানিয়েছিল বিরোধীরা। অবশেষ সেই দাবি মান্যতা পেল। মণিপুর নিয়ে আলোচনা করতে আগামী ২৪ জুন সর্বদলীয় বৈঠকের ডাক দিলেন অমিত শাহ (Amit Shah)।
গত ৩ মে থেকে জাতিদাঙ্গায় জ্বলছে মণিপুর। হাজার হাজার সেনা মোতায়েন করেও নিয়ন্ত্রণে আনা যাচ্ছে না কুকি এবং মেইতেই জনগোষ্ঠীর সংঘর্ষ। সম্প্রতি মণিপুর সরকারের এক রিপোর্ট বলা হয়েছে, রাজ্যে মায়ানমার থেকে অনুপ্রবেশ ঘটছে। প্রায় ২ হাজার অনুপ্রবেশকারী রয়েছে রাজ্যে। ভারতের জমিতে রীতিমতো গ্রাম বানিয়ে ফেলেছে তারা। সরকারের বহু চেষ্টা সত্ত্বেও নির্দিষ্ট শিবিরে যেতে চাইছে না তারা। জনজাতি বিষয়ক এবং পাহাড় উন্নয়ন মন্ত্রী লেটপাও হাওকিপের নেতৃত্বে থাকা সাব কমিটির রিপোর্টে আরও বলা হয়েছে, ২৯ মার্চ ও ১ এপ্রিল সেনাপতি ও চূড়াচাঁদপুর জেলায় অবৈধ অনুপ্রবেশকারীদের সঙ্গে দেখা করেছেন তাঁরা। ২৪ এপ্রিল দাাখিল করা ওই রিপোর্টে বলা হয়েছে, রাজ্যের ৪১টি এলাকায় ২ হাজার ১৮৭ জন অনুপ্রবেশকারী রয়েছে।
সব মিলিয়ে মণিপুরের পরিস্থিতি ক্রমশ রাজ্য এবং কেন্দ্রের নিয়মন্ত্রণের বাইরে চলে যাচ্ছে। কার্যত একাধিক জনগোষ্ঠীর সংঘর্ষ গৃহযুদ্ধের আকার নিয়েছে। এই বিষয়ে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির নীরব থাকা নিয়েও প্রশ্ন তুলেছিলব বিরোধী দলগুলি। গত দেড়মাস যাবৎ মণিপুরের নাগরিকরা প্রাণ হাতে করে বাঁচলেও গত রবিবারের ‘মন কি বাতে’ এই বিষয়ে একটি শব্দও উচ্চারণ করেননি প্রধানমন্ত্রী। যার পর কংগ্রেস, তৃণমূল-সহ একাধিক রাজনৈতিক দল দাবি করে, মোদি সরকার মণিপুরকে ভারতের অংশ বলে মনেই করে না।
শেষ পর্যন্ত বুধবার ঘুম ভাঙল স্বরাষ্ট্রমন্ত্রকের। এদিন মন্ত্রকের তরফে টুইটে জানানো হয়, ২৪ জুন অর্থাৎ শনিবার দুপুর ৩টে নাগাদ নয়াদিল্লিতে সর্বদলীয় বৈঠক হবে। এদিকে মণিপুরে গোষ্ঠীহিংসার নেপথ্যে ষড়যন্ত্রের গন্ধ পেয়েছে কেন্দ্র। এই বিষয়ে তদন্তে নেমেছে সিবিআই। গত শুক্রবার ছ’টি এফআইআর করে তদন্ত নেমেছে সিবিআই।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2024 Pratidin Prakashani Pvt. Ltd. All rights reserved.