Advertisement
Advertisement
NRC দ্বিতীয় নোটবন্দী

‘NRC নোটবন্দি 2.0’, কেন্দ্রকে ঝাঁজাল আক্রমণ রাহুলের

উত্তপ্ত অসমে যাচ্ছেন কংগ্রেস নেতা।

Notebandi 2, Rahul Gandhi Attacks BJP Over CAA, NRC
Published by: Paramita Paul
  • Posted:December 28, 2019 12:26 pm
  • Updated:December 28, 2019 6:09 pm  

সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: NRC বিরোধী আন্দোলনে উত্তাল অসম। সহিংস আন্দোলনে ইতিমধ্যে মৃত্যু হয়েছে ছয় প্রতিবাদীর। এই পরিস্থিতিতে শনিবার অসমে এলেন কংগ্রেস নেতা রাহুল গান্ধী। উত্তপ্ত অসমে এই প্রথমবার যাচ্ছেন কংগ্রেস নেতা। তবে তাঁর সফরের আগে NRC-কে ‘দ্বিতীয় নোটবন্দি’ বলে কটাক্ষ করলেন রাহুল। তাঁর কথায়, “কেন্দ্রের এই পদক্ষেপ দেশের নোটবন্দির চেয়েও বেশি ক্ষতি করবে গরিবদের।” 

দিন কয়েক আগেই প্রধানমন্ত্রীকে মিথ্যাবাদী বলে কটাক্ষ করেছিলেন রাহুল। দিল্লির রামলীলা ময়দান থেকে প্রধানমন্ত্রী ঘোষণা করেছিলেন, ‘দেশে কোনও ডিটেনশন ক্যাম্প নেই।’ তাঁর সেই দাবিকে মিথ্যা বলে উড়িয়ে দিয়ে একটি ভিডিও টুইট করেন রাহুল। যেখানে দেখা যায়, অসমে ডিটেনশন ক্যাম্প তৈরি হচ্ছে। এরপরই কংগ্রেস নেতাকে পালটা ‘মিথ্যেবাদীদের সর্দার’ বলে কটাক্ষ করেছিলেন বিজেপির মুখপাত্র সম্বিত পাত্র। এদিন সেই কটাক্ষেরও জবাব দেন রাহুল। তিনি বলেন, “সকলেই দেখেছেন আমি কী ভিডিও টুইট করেছিলাম। সেই ভিডিওতে দেখা গিয়েছিল, খোদ প্রধানমন্ত্রী দাবি করছেন, দেশে নাকি কোনও ডিটেনশন ক্যাম্প নেই। অথচ ডিটেনশন ক্যাম্প তৈরির ফুটেজও আমি দিয়েছিলাম। আবার আপনারা বিচার করুন কে মিথ্যা বলছেন।”

Advertisement

[আরও পড়ুন : CAA নিয়ে বিক্ষোভের মাঝেই বিহারে প্রকাশ্যে খুন কংগ্রেস নেতা]

স্বভাবতই তাঁর এই মন্তব্যের জেরে ব্যাকফুটে বিজেপি। প্রসঙ্গত, শুক্রবারই একই দাবি করেছিলেন অসমের প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী তরুণ গগৈ। তিনি জানিয়েছিলেন, “মোদী মিথ্যুক। ২০১৮ সালে তাঁর সরকারই গোয়ালপাড়ায় ডিটেনশন ক্যাম্পের জন্য ৪৬ কোটি টাকা অনুদান দিয়েছিল। আবার তিনিই বলছেন, দেশে কোনও ডিটেনশন সেন্টার নেই।” 

[আরও পড়ুন : রক্ষকই ভক্ষক! নাবালিকার শ্লীলতাহানির অভিযোগ ডিআইজি’র বিরুদ্ধে]

এদিন NRC, NPR ও CAA নিয়ে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে রাহুল জানান, “নোটবন্দীর চেয়েও ভয়ানক সিদ্ধান্ত। দেশের গরীব মানুষদের শেষ করে দেবে এই সিদ্ধান্ত। সরকার চাইছে ওঁরা নিজেদের ভারতীয় প্রমাণ করতে নথি পেশ করুক।” প্রসঙ্গত, নাগরিকত্ব (সংশোধনী) বিল সংসদে ওঠার পর থেকেই ক্ষোভে ফুঁসছে গোটা দেশ। রাষ্ট্রপতির স্বাক্ষরের পরই সেই বিল আইনে পরিণত হয়েছে। পাল্লা দিয়ে বেড়েছে প্রতিবাদের ঝাঁজও। পড়ুয়া থেকে বর্ষীয়ান নাগরিক, খেটে খাওয়া মজদুর থেকে রূপালি পর্দার তারকা-একসঙ্গে সকলে পথে নেমেছেন। বির্তকিত আইন প্রত্যাহারে দাবিতে গলা মিলিয়েছেন সকলেই। তবে সেই প্রতিবাদী স্বর রোধ করতে পুলিশ-প্রশাসনও আগ্রাসী হয়েছে বলে অভিযোগ। আন্দোলনে নেমে গোটা দেশে প্রাণ হারিয়েছেন প্রায় ২৮ জন।  

Sangbad Pratidin News App

খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ

Advertisement