সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: নোটা নিয়ে ভোটের আগে রাজনৈতিক দলগুলি আপত্তি তুলেছিল। বিশেষ করে গেরুয়া শিবির। আরএসএস নোটা-বিরোধী অভিযানও চালায়। ভোটের ফলপ্রকাশের পর দেখা যাচ্ছে, এই নোটাই নির্ণায়ক ভূমিকা নিয়েছে বেশ কয়েকটি আসনে। মহারাষ্ট্রের তিনটি আসনে দ্বিতীয় স্থান পেয়ে গিয়েছে নোটা। হরিয়ানাতেও বেশ কয়েকটি আসনেই নির্ণায়ক ভূমিকা নিয়েছে এই বোতাম। না হলে হয়তো হরিয়ানার সমীকরণই অন্যরকম হত।
মহারাষ্ট্রের লাতুরের একটি আসনে প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী বিলাস রাও দেশমুখের ছেলে তথা কংগ্রেস নেতা ধীরাজ রাও দেশমুখ জয়ী হয়েছেন। তিনি পেয়েছেন ১ লক্ষ ৩৩ হাজার ভোট। এই আসনে তৃতীয় স্থানে শেষ করেছে তাঁর প্রধান বিরোধী শিব সেনা। ভোট মাত্র ১৩ হাজার ৩৩৫টি। নোটায় ভোট পড়েছে প্রায় ২৭ হাজার ২৮৭টি। একইভাবে পালুশ কোড়েগাঁও আসনটিতে জয়ী হয়েছে কংগ্রেস। এখানেও বিজেপি-জোট প্রার্থীর প্রায় দ্বিগুণ ভোট পেয়েছে নোটা। একইভাবে অক্কলকুয়া বিধানসভা কেন্দ্রেও শিব সেনা প্রার্থীর থেকে বেশি ভোট পেয়েছে নোটা। এই আসনেও জয়ী হয়েছে কংগ্রেস।
হরিয়ানায় নোটার ভূমিকা আরও গুরুত্বপূর্ণ। অন্তত ৬টি আসনে নোটা নির্ণায়ক ভূমিকা নিয়েছে। এর মধ্যে পাঁচটি আসনে নোটা এবং নির্দলদের জন্য পরাজিত হতে হয়েছে কংগ্রেসকে। নোটার শিকার হয়েছেন খোদ কংগ্রেসের পরিচিত মুখ রণদীপ সুরজেওয়ালা। এই পাঁচটি আসন কংগ্রেস জিতলে হয়তো সরকার গড়ার মতো জায়গায় চলে আসতে পারত হাত শিবির।
কোনও প্রার্থীকেই পছন্দ না হলে একটি বিকল্প হিসেবে নোটা চালু করে কমিশন। শুরুটা হয়েছিল পরীক্ষামূলকভাবে। এরপর ধীরে ধীরে বাড়তে থাকে নোটার জনপ্রিয়তা। তবে, এবারের দুই রাজ্যের বিধানসভা ভোটে নোটা যে পরিমাণ গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা নিল, তা তথাকথিত মূলধারার রাজনৈতিক দলগুলির জন্য চিন্তার কারণ হয়ে উঠতে পারে। কোনও রাজনৈতিক দলকেই পছন্দ করেন না এমন মানুষের এই সংখ্যাবৃদ্ধি মোটেই গণতন্ত্রের জন্য শুভ লক্ষণ নয় বলে মনে করছেন বিশেষজ্ঞরা।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2024 Pratidin Prakashani Pvt. Ltd. All rights reserved.