সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: তবলিঘি জামাতের লুকিয়ে থাকা সদস্যদের গুলি করে মারলে ভুল কিছু হবে না। এমনটাই বিতর্কিত মন্তব্য করেছেন কর্ণাটকের এক বিজেপি বিধায়ক। ইতিমধ্যে এই মন্তব্য ঘিরে শুরু হয়েছে সমালোচনা।
We are suffering because someone is not coming for check-up. I request them to come voluntarily to the doctors & District Magistrates. Not all minorities are terrorists, not all of them are anti-nationals: BJP MLA from Honnali constituency, MP Renukacharya (07.04) #Karnataka https://t.co/F6CwixfhPR
— ANI (@ANI) April 8, 2020
গত মাসে দিল্লির নিজামুদ্দিন মারকাজ থেকে ফেরা তবলিঘি জামাতের সদস্যদের ঘিরে গোটা দেশে ছড়িয়েছে করোনা ত্রাস। অসম-সহ বেশ কয়েকটি রাজ্যে জামাতিদের শরীরে পাওয়া গিয়েছে মারণ রোগের জীবাণু। সরকার থেকে বারবার আবেদন করা হলেও অনেকেই আত্মগোপন করেছে। সমস্ত বিধিনিষেধ শিকেয় তুলে বিপদ বাড়িয়ে তুলছে তারা। সংবাদ সংস্থা এএনআই সূত্রে খবর, দিল্লির নিজামুদ্দিন নিয়ে প্রশ্ন করা হলে, কর্ণাটকের হনাললি আসনের বিজেপি বিধায়ক এমপি রেণুকাচার্য বলেন, “তবলিঘি জামাতে যারা গিয়েছিল তারা স্বাস্থ্য পরীক্ষার জন্য আসছে না। তারা পালিয়ে বেড়াচ্ছে। সরকারের উচিত বিষয়টিকে গুরুত্ব সহকারে দেখা। এমন মানুষকে গুলি করলেও ভুল কিছু করা হবে না। না হলে এই ভাইরাস গোটা দেশে ছড়িয়ে পড়বে। মনে রাখতে হবে, চিনে একজনের শরীর থেকেই ভাইরাসটি গোটা অঞ্চলে ছড়িয়ে পড়েছিল।” তিনি আরও বলেন, “সব সংখ্যালঘু সন্ত্রাসবাদী বা দেশদ্রোহী নন। কিছু লোকের জন্য আমাদের ভুগতে হচ্ছে। আমি তাদের স্বাস্থ্য পরীক্ষার জন্য এগিয়ে আসার আহ্বান জানাচ্ছি।”
উল্লেখ্য, অসম ও পাঞ্জাব সরকার ইতিমধ্যেই আত্মগোপন করে থাক জামাতিদের বিরুদ্ধে কড়া ব্যবস্থা নেপয়র কথা ঘোষণা করেছে। বিশেষ করে অসময়ে মত ২৭টি করোনা পজিটিভ মামলার মধ্যে ২৫টি জামাত সদস্যদের। এহেন পরিস্থিতিতে লকডাউন, সামাজিক দূরত্ব ইত্যাদি সমস্ত প্রচেষ্টা বিফল হয়ে যাচ্ছে কয়েকটি মানুষের জন্য বলেই উঠছে অভিযোগ। এদিকে, গত ২৪ ঘণ্টায় দেশে নতুন করে আক্রান্তের সংখ্যা ৭৭৩। মৃত্যু হয়েছে ৩৫ জনের। সব মিলিয়ে এপর্যন্ত মৃতের সংখ্যা বেড়ে হয়েছে ১৪৯। মোট আক্রান্ত ৫১৯৪। বুধবার এমনটাই জানিয়েছে কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্যমন্ত্রক।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2024 Pratidin Prakashani Pvt. Ltd. All rights reserved.