সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: পাঞ্জাব ন্যাশনাল ব্যাংক থেকে কোটি কোটি টাকা ঋণ নিয়ে পলাতক ধনকুবের নীরব মোদি আর কখনও ওই ঋণ শোধ করবেন কি না ঠিক নেই! কিন্তু জানেন কি, এই দেশের এক প্রধানমন্ত্রীও পিএনবি থেকে ঋণ নিয়েছিলেন। টাকার অঙ্কটা যদিও মোদির ধারেকাছে নয়। তবে সেই সময় ওই ক’টা টাকারও যথেষ্টই মূল্য ছিল। কথা হচ্ছে দেশের প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী লাল বাহাদুর শাস্ত্রীকে নিয়ে। যিনি, পিএনবি থেকে ৫০০০ টাকা ঋণ নিয়েছিলেন, গাড়ি কেনার জন্য।
একটি সর্বভারতীয় সংবাদমাধ্যম বুধবার এই তথ্য প্রকাশ্যে এনেছে। প্রতিবেদনে দাবি করা হয়েছে, লাল বাহাদুর শাস্ত্রী ওই ঋণ মেটানোর আগেই আচমকা মারা যান। শেষ পর্যন্ত তাঁর পেনশনের টাকা থেকে ওই ঋণ মিটিয়ে দেন তাঁর পুত্র অনিল শাস্ত্রী। বর্ষীয়ান এই কংগ্রেস নেতা বলছেন, ‘১৯৬৪-তে শাস্ত্রী মনে করেন, এবার তাঁর ব্যক্তিগত কাজের জন্য একটি গাড়ি দরকার। তিনি খোঁজ নিয়ে জানেন, একটি ফিয়াট গাড়ির দাম পড়বে ১২ হাজার টাকা। বাবার কাছে সে সময় ৭০০০ টাকা মতো ছিল। বাকি টাকার জন্য বাবা পিএনবির কাছে ঋণের আবেদন জানান। একদিনের মধ্যেই ওই ঋণ মঞ্জুর হয়ে যায়।’
কিন্তু তারপরই আচমকা শাস্ত্রী পরিবারে নেমে আসে বিপর্যয়। ১৯৬৬-তে লাল বাহাদুর শাস্ত্রী রহস্যজনকভাবে মারা যান। ওই ঋণ বকেয়াই রয়ে যায়। তাঁর মৃত্যুর পর তাঁর স্ত্রী ও সন্তান ওই ঋণ মিটিয়ে দেন। ক্রিম রঙের ফিয়াট ১৯৬৪ মডেলের গাড়িটি বর্তমানে রাজধানী দিল্লির মতিলাল নেহেরু মার্গে প্রদর্শিত রয়েছে। ব্রিটিশ রাজের সময় একটি স্বদেশি ব্যাংক খোলার প্রয়োজনীয়তা অনুভব করেছিলেন লালা লাজপত রায়। পরে তিনিই ব্যাংকটির বোর্ড অফ ডিরেক্টর হিসাবে দায়িত্ব গ্রহণ করেন। আর এই তথ্য প্রকাশ্যে আসার পরই নেটিজেনদের একাংশ বলছেন, একদিকে যেমন নীরব মোদির মতো গ্রাহক রয়েছেন, যাঁরা ব্যাংকে সাধারণ মানুষের জমানো আমানত নিয়ে পালিয়ে বেড়ান, তখনই একদিকে পিএনবি শাস্ত্রীজির মতো গ্রাহকও পেয়েছে। যিনি মারা যাওয়ার পর তাঁর বিধবা স্ত্রী ও সন্তান ব্যাংকের প্রতিটি পয়সাই চুকিয়ে দিয়েছেন।আজ সেই পিএনবি ঘোর বিপর্যয়ের মুখে। এই পরিস্থিতি থেকে ঘুরে দাঁড়িয়ে কবে ফের মাথা তুলে দাঁড়াবে রাষ্ট্রায়ত্ত ব্যাংকটি, সেদিকেই এখন গোটা দেশের নজর রয়েছে।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2024 Pratidin Prakashani Pvt. Ltd. All rights reserved.