প্রতীকী ছবি।
সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: সন্ত্রাসবাদী সংগঠনগুলি থেকে দূরত্ব বাড়াচ্ছে উপত্যকার যুবসমাজ! কেন্দ্রের স্বস্তি বাড়িয়ে সম্প্রতি জম্মু ও কাশ্মীর পুলিশের তরফে এক রিপোর্ট প্রকাশ্যে আনা হয়েছে। যেখানে দাবি করা হয়েছে, চলতি বছরে শ্রীনগর জেলা থেকে একজন যুবকও জঙ্গি শিবিরে যোগ দেয়নি। অর্থাৎ ৩৭০ ধারা প্রত্যাহারের পর এই প্রবণতাকে ‘বিরাট সাফল্য’ হিসেবে দেখছে প্রশাসন। যদিও দক্ষিণ কাশ্মীর থেকে এ বছর ৭ যুবক জঙ্গি সংগঠনে নাম লিখিয়েছে। যা অতীতের তুলনায় অনেক কম।
বিগত কয়েক দশক ধরে দেশের গোয়েন্দা বিভাগের কাছে অন্যতম মাথা ব্যাথার কারণ উপত্যকার সন্ত্রাস। পাকিস্তানের মদতে ভূস্বর্গে লাগাতার সন্ত্রাসবাদী হামলায় প্রাণ হারিয়েছেন অসংখ্য সাধারণ মানুষের পাশাপাশি নিরাপত্তাবাহিনীর সদস্যরা। পাক জঙ্গি সংগঠনগুলির স্লিপার সেল এই অঞ্চলে ব্যাপকভাবে সক্রিয়। যাঁদের কাজ মূলত যুব সমাজের মগজ ধোলাই করে জঙ্গি শিবিরে নাম লেখানো। এই প্রক্রিয়ায় রাশ টানতে এবং সন্ত্রাসের কোমর ভেঙে দিতে জম্মু ও কাশ্মীরে কড়া হাতে মাঠে নামে প্রশাসন। প্রত্যাহার করে নেওয়া হয় ৩৭০ ধারা।
দাবি করা হচ্ছে, এর পর থেকেই উপত্যকাতে সরতে শুরু করেছে সন্ত্রাসের কালো মেঘ। এখানকার যুবসমাজ আর আগ্রহী নন সন্ত্রাসের পথে হাঁটতে। পুলিশের প্রকাশিত রিপোর্টে দাবি করা হয়েছে, ২০২৪ সালে শ্রীনগর জেলা থেকে কেউ জঙ্গি শিবিরে নাম লেখাননি। তবে দক্ষিণ কাশ্মীর থেকে ৭ জন সন্ত্রাসবাদী শিবিরে যোগ দিয়েছেন। কাশ্মীরের অন্যান্য অংশে সক্রিয় রয়েছে হাইব্রিড জঙ্গিরা। এই হাইব্রিড জঙ্গি হল তারাই যারা পুলিশের র্যাডারে রয়েছে।
মনে করা হচ্ছে অন্তত ৫০ জন বিদেশি জঙ্গি কাশ্মীর, কিশতওয়াড় এবং ডোডা এলাকায় সক্রিয় থাকতে পারে। যেহেতু সেনাবাহিনীর তরফে লাগাতার অভিযান চলছে, তাই এরা এক জায়গা থেকে অন্য জায়গায় পালিয়ে বেড়াচ্ছে। দক্ষিণ কাশ্মীরের কুপওয়ারা এবং কাশ্মীরের বান্দিপোরায় বিদেশি জঙ্গিরা সক্রিয় থাকতে পারে বলেও অনুমান পুলিশের।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2024 Pratidin Prakashani Pvt. Ltd. All rights reserved.