সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: ওড়িশাকে তছনছ করার চেষ্টায় কোনও ত্রুটি রাখেনি মহাপ্রলয় ‘ডানা’। বৃহস্পতিবার রাত ১১টা ১২ মিনিটে ওড়িশা উপকূলে ১১০ কিলোমিটার গতিতে আছড়ে পড়ে ঘূর্ণিঝড়। প্রস্তুত ছিল প্রতিপক্ষও। এর পর সারারাত ডানার বিরুদ্ধে যুদ্ধ চালানোর পর সকালে যুদ্ধজয়ের বিজয় পতাকা ওড়ালেন ওড়িশার মুখ্যমন্ত্রী মোহন মাঝি। জানালেন, ‘মিশন সফল। ডানার তাণ্ডবে রাজ্যে কোনও প্রাণহানি ঘটেনি।’
শুক্রবার সকালে ডানা পরবর্তী পরিস্থিতি নিয়ে পর্যালাচনা বৈঠক করেন মুখ্যমন্ত্রী মাঝি। সেখানেই তিনি বলেন, রাজ্য সরকার এই বিপর্যয় মোকাবিলা করতে সক্ষম হয়েছে। উদ্ধারকার্য ও পরিস্থিতি স্বাভাবিক করার কাজ চলছে। এবং সবচেয়ে উল্লেখযোগ্য আমরা আমাদের লক্ষ্যপূরণ করতে পেরেছি এই বিপর্যয় মৃত্যুশূন্য। দ্রুত প্রশাসনিক পদক্ষেপ এবং দলগতভাবে কাজ করার ফলে দুর্যোগের ক্ষয়ক্ষতি কমিয়ে আনা সম্ভব হয়েছে। আমাদের সরকারে অফিসাররা ৭২ ঘণ্টা ধরে কাজ করেছে।
মুখ্যমন্ত্রী আরও জানান, পরিস্থিতি সামাল দিতে ৬০০৮টি ত্রাণশিবির খোলা হয়। সেখানে জল, ওষুধ, খাবার-সহ প্রয়োজনীয় সব জিনিসের ব্যবস্থা করা হয়। শুধুমাত্র বালাসোর থেকে নিরাপদ আশ্রয়ে সরিয়ে আনা হয় প্রায় ১ লক্ষ ৭৩ হানার মানুষকে। ময়ুরভঞ্জ জেলায় এই সংখ্যাটা ছিল প্রায় একলক্ষ। মুখ্যমন্ত্রী বলেন, আমাদের লক্ষ্য ছিল দুর্যোগপূর্ণ এলাকা থেকে সবচেয়ে বেশি মানুষকে ত্রাণ শিবিরে নিয়ে আসা। ঝুঁকিপূর্ণ জায়গা থেকে অন্তত ৬ লক্ষ মানুষকে নিরাপদ আশ্রয়ে নিয়ে আসতে আমরা সফল হয়েছি। যার জেরে শুক্রবার পর্যন্ত ডানার দাপটে কোনও প্রাণহানির খবর পাওয়া যায়নি।
উল্লেখ্য, ঘূর্ণিঝড়প্রবণ ওড়িশাকে ‘মৃত্যুশূন্য’ করার লক্ষ্যে কাজ শুরু করেছিলেন প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী নবীন পট্টনায়েক। তাঁর আমলে জোর কদমে শুরু হয়েছিল ঘূর্ণিঝড় মোকাবিলায় পরিকাঠামো তৈরি কাজ। এর পর চলতি বছর বিজেডি সরকারকে সরিয়ে ক্ষমতায় আসে বিজেপি মুখ্যমন্ত্রী হন মোহন মাঝি। রাজনৈতিক মহলের দাবি, ক্ষমতা বদলের পর মাঝির হাত দিয়ে বাস্তবায়িত হল নবীন পট্টনায়েকের স্বপ্ন। তা যতই মাঝি এই কৃতিত্ব নিজের বলে দাবি করুন, এর পিছনে নবীন পট্টনায়েকের অবদান কোনওভাবেই অস্বীকার করা যায় না।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2024 Pratidin Prakashani Pvt. Ltd. All rights reserved.