গৌতম ব্রহ্ম: বিশ্বজয়ের পর ঘরে ফিরছেন অভিজিৎ বিনায়ক বন্দ্যোপাধ্যায়। বর্তমান নিবাস আমেরিকা হলেও তাঁর শিকড় এই বাংলায়। নোবেল জেতার পর এই প্রথমবার বাংলার মাটিতে পা রাখবেন তিনি। তবে, তাঁর আগে বিমানেই পেয়ে গেলেন সারপ্রাইজ। বিমানকর্মীরা তাঁকে রীতিমতো চমকে দিলেন। আসলে, অভিজিৎবাবুর সাফল্যে উচ্ছ্বসিত গোটা দেশ। বিমানকর্মীরাও ব্যতিক্রম নন। নোবেলজয়ীকে নিজেদের মতো করেই সংবর্ধনা দিলেন তাঁরা। অভিজিৎবাবুর হাতে তুলে দেওয়া হল ‘হাতে লেখা স্মারক’। তাঁর সাফল্যের কথা ঘোষণা হতেই হাততালিতে ফেটে পড়লেন সহযাত্রীরা। যাদের মধ্যে ছিলেন অভিজিৎ বিনায়ক বন্দ্যোপাধ্যায়ের ঘনিষ্ঠ, তথা লিভার ফাউন্ডেশনের শীর্ষ কর্তা ডাঃ অভিজিৎ চৌধুরিও। তিনি নোবেলজয়ীর সঙ্গে একাধিক জায়গায় কাঁধে কাঁধ মিলিয়ে কাজ করেছেন।
আজ সকালেই প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির সঙ্গে সাক্ষাৎ করেছেন অভিজিৎবাবু। তারপর ইন্ডিগোর বিমানে কলকাতা ফিরছেন তিনি। বিমানে তাঁর জন্য কী অপেক্ষা করছিল, সেটা অবশ্য জানা ছিল না অভিজিৎবাবুর। তিনি প্রবেশ করার পরই ক্যাপ্টেন সূর্য প্রকাশ এবং ফার্স্ট অফিসার নেহা আগরওয়াল তাঁর কাছে গিয়ে একটি হাতে লেখা স্মারক তাঁর হাতে তুলে দেন। যাতে তাঁর সারাজীবনের সাফল্যের কথা লেখা ছিল। বিমানসেবিকা মিমিশা, নেহা শর্মা, পূজা, মৌসামিরা ততক্ষণে হাততালি দিচ্ছেন। অভিজিৎ বন্দ্যোপাধ্যায়ের পাশাপাশি আপ্যায়ন করা হল লিভার ফাইন্ডেশনের কর্তা ডাঃ অভিজিৎ চৌধুরিকেও। স্মারক তুলে দেওয়ার পর, খোদ ক্যাপ্টেন সূর্যপ্রকাশ ঘোষণা করলেন, “আমরা খুব ভাগ্যবান, আমাদের মধ্যে অভিজিৎবাবুর মতো একজন নোবেলজয়ীকে পেয়েছি। ওঁ গোটা দেশকে গর্বিত করেছেন।” এই ঘোষণার পরই হাততালিতে ফেটে পড়েন তাঁর সহযাত্রীরা। বিমানসেবিকারও অভিজিৎকে পাশে পেয়ে উচ্ছ্বসিত। ওঁদের মধ্যে থেকেই নেহা বলছিলেন, “অভিজিৎবাবু আমাদের গর্বিত করেছেন। আমরা গর্বিত যে উনি আমাদের সঙ্গে সফর করছেন।”
অভিজিৎবাবু গত শুক্রবার রাতে নয়াদিল্লিতে পৌঁছেছেন। রাজধানীতে একাধিক কর্মসূচি ছিল তাঁর। গিয়েছিলেন নিজের বিশ্ববিদ্যালয় জেএনইউতেও। আজ সকালে সাক্ষাৎ করেন প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গেও। তারপর সাংবাদিক বৈঠকেও করেন নোবেলজয়ী। সেখানেও তাঁর সঙ্গে ছিলেন সহযোদ্ধা ডাঃ অভিজিৎ চৌধুরি। শহরে ফেরার পরও তাঁর একাধিক কর্মসূচি রয়েছে।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2024 Pratidin Prakashani Pvt. Ltd. All rights reserved.