Advertisement
Advertisement

Breaking News

Parliament winter session

করোনায় বাতিল সংসদের শীতকালীন অধিবেশন, নাকচ কৃষি আইন নিয়ে আলোচনার দাবি

সব দলের মত নিয়েই সিদ্ধান্ত, অধীরকে চিঠি লিখে জানালেন সংসদ বিষয়ক মন্ত্রী।

No winter session of Parliament because of the coronavirus outbreak,Parliamentary Affairs Minister Pralhad Joshi has said |Sangbad Pratidin
Published by: Subhajit Mandal
  • Posted:December 15, 2020 11:16 am
  • Updated:December 15, 2020 11:16 am  

সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: জল্পনা ছিলই। এবার সরকারিভাবে সংসদের শীতকালীন অধিবেশন বাতিল করার সিদ্ধান্ত জানিয়ে দিল কেন্দ্র। সোমবার লোকসভায় কংগ্রেসের দলনেতা অধীররঞ্জন চৌধুরীকে একটি চিঠি লিখে সরকারের সিদ্ধান্তের কথা জানিয়ে দিয়েছেন সংসদ বিষয়ক মন্ত্রী প্রহ্লাদ যোশী (Pralhad Joshi)। তাঁর দাবি, সব বিরোধী দলের নেতাদের সঙ্গে ব্যক্তিগত স্তরে কথা বলার পরই সরকার এই সিদ্ধান্ত নিয়েছে।

কিছুদিন আগেই কৃষি আইন নিয়ে উত্তাল বিক্ষোভ, সীমান্তে চিনা আগ্রাসন এবং অর্থনীতির মন্দা নিয়ে আলোচনার জন্য সংক্ষিপ্ত শীতকালীন অধিবেশনের দাবিতে কেন্দ্রকে চিঠি দিয়েছিলেন অধীর (Adhir Ranjan Chowdhury)। টুইটারে কৃষি বিল নিয়ে আলোচনার জন্য সংসদ খোলার দাবি জানিয়েছিলেন কংগ্রেস সাংসদ মনীশ তেওয়ারিও। কিন্তু সরকার বলছে, সব দলের সঙ্গে আলোচনা করেই নাকি অধিবেশন বাতিলের সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। অধীরের চিঠির জবাবে সোমবার সংসদ বিষয়ক মন্ত্রী জানিয়েছেন,”দিল্লির মতো এলাকায় নতুন করে করোনা বাড়ছে। আর শীতের এই কটা মাস মহামারী মোকাবিলার জন্য খুব গুরুত্বপূর্ণ।” প্রহ্লাদ যোশী বলছেন,”আমরা এখন ডিসেম্বরে। আর করোনার ভ্যাকসিন খুব তাড়াতাড়ি আসতে চলেছে। এই পরিস্থিতিতে বিভিন্ন দলের নেতাদের সঙ্গে আমি ব্যক্তিগতভাবে যোগাযোগ করেছিলাম। এবং সকলেই শীতকালীন অধিবেশন বাতিলের পক্ষে। সরকার দ্রুত সংসদের অধিবেশন বসানোর চেষ্টা করবে। আগামী জানুয়ারিতেই যাতে বাজেট অধিবেশন বসানো যায় সেই চেষ্টাও করা হচ্ছে।” শীতকালীন অধিবেশন বাতিল হওয়ার অর্থ হল, কৃষি আইন এবং কৃষকদের বিক্ষোভ নিয়ে আলোচনার যে দাবি বিরোধীরা করছিল, তা এখনই মানা হচ্ছে না।

Advertisement

[আরও পড়ুন: সাময়িকভাবে হলেও কৃষি আইন প্রত্যাহার করা উচিত সরকারের, মত অভিজিৎ বন্দ্যোপাধ্যায়ের]

প্রসঙ্গত, চলতি বছর সংসদের দুই অধিবেশনেই কমবেশি প্রভাব ফেলেছে করোনা (CoronaVirus)। বাজেট অধিবেশন চলাকালীনই এই ভাইরাসের দাপট শুরু হয় ভারতে। দেশজুড়ে লকডাউন শুরু হওয়ায় মাঝপথেই বাতিল করে দিতে হয় অধিবেশন। তারপর বাদল অধিবেশন নিয়েও বিস্তর টানাপোড়েন হয়। শেষপর্যন্ত কঠোর করোনা বিধি মেনে সংক্ষেপে সেই অধিবেশন ডাকা হলেও এড়ানো যায়নি বিপদ। বাদল অধিবেশনের পর কমবেশি ৪০ জন সাংসদ করোনা আক্রান্ত হন। মৃত্যু হয় রাজ্যসভার ৩ সাংসদের। সূত্রের খবর, শীতকালীন অধিবেশনের আগে দিল্লির পরিস্থিতি দেখে আর ঝুঁকি নিতে চাইছে সরকার।

Sangbad Pratidin News App

খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ

Advertisement