সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: শ্বশুরবাড়িতে পণের দাবিতে মানসিক ও শারীরিক অত্যাচার কিংবা স্বামীর বিবাহ-বর্হিভূত সম্পর্ক, নানা কারণেই বিবাহ-বিচ্ছেদ চেয়ে আদালতের দ্বারস্থ হন মহিলারা। এমনকী, স্বামীর শারীরিক সম্পর্কে অনীহাকেও বিবাহ-বিচ্ছেদের কারণ হিসেবে স্বীকৃতি দিয়েছে আদালত। আর সেই তালিকায় নয়া সংযোজন শৌচাগার। শ্বশুরবাড়িতে শৌচাগার না থাকায় এক মহিলাকে বিবাহ-বিচ্ছেদের অনুমতি দিয়েছে রাজস্থানের একটি পারিবারিক আদালত। আদালতের পর্ষবেক্ষণ, বাড়িতে শৌচাগার না থাকা মহিলাদের প্রতি নিষ্ঠুরতা।
[শৌচাগার সাফাইয়ে ছাত্রীদের বাধ্য করলেন শিক্ষিকা, ভাইরাল ভিডিও]
কেন্দ্রে ক্ষমতায় আসার পর, দেশে স্বচ্ছ ভারত মিশন চালু করেছে মোদি সরকার। লক্ষ্য একটাই, খোলা জায়গায় শৌচকর্ম বন্ধ করা। সময়ের সঙ্গে সঙ্গে স্বচ্ছ ভারত মিশনের প্রচারাভিযানও তুঙ্গে উঠেছে। এই প্রকল্পে বাড়িতে শৌচাগারও তৈরি করে দিচ্ছে কেন্দ্র। লাগাতার প্রচারে মানুষও যে সচেতন হচ্ছেন, তারই প্রমাণ মিলল। বছর পাঁচেক আগে বিবাহ-বিচ্ছেদ আবেদন জানিয়ে পারিবারিক আদালতে মামলা করেছিলেন রাজস্থানের ভিলাওয়াড়া জেলার বাসিন্দা এক মহিলা। ওই মহিলার বক্তব্য ছিল, শ্বশুরবাড়িতে শৌচাগার নেই। বিয়ে পর থেকে খোলাস্থানে শৌচকর্ম করতে হয় তাঁকে। সমস্যার কথা শ্বশুরবাড়ির লোকেদের জানিয়েও কোনও লাভ হয়নি। বাড়িতে শৌচাগার তৈরিতে আগ্রহ দেখাননি তাঁরা। ওই মহিলার বিবাহ-বিচ্ছেদের আবেদন মঞ্জুর করেছে আদালত। রায় ঘোষণা করতে গিযে বিচারক বলেছেন, ‘আমাদের মা, বোনেদের শৌচকর্ম করার জন্য খোলা জায়গায় যেতে হয। এটা কি আমাদের কখনও যন্ত্রণা দিয়েছে? গ্রামে মহিলারা অপেক্ষা করে থাকেন, কখন অন্ধকার নামবে? যাতে তাঁরা খোলা জায়গায় গিয়ে শৌচকর্ম করতে পারেন। দিনভর মহিলাদের শারীরিক যন্ত্রণা সহ্য করতে হয়।’ বিচারকের সংযোজন, ‘একবিংশ শতাব্দীতেও বাড়িতে শৌচালয় না থাকাটা মর্যাদাহানির। মহিলাদের প্রতি নিষ্ঠুরতা।’
[গোপনাঙ্গে কাঠের টুকরো, ৭ বছরের বালিকাকে যৌন নিগ্রহে অভিযুক্ত পঞ্চম শ্রেণির ছাত্র ]
বস্তুত, মামলা চলাকালীন ওই মহিলার শ্বশুরবাড়ির লোকেদের বাড়িতে শৌচাগার থাকার প্রমাণ দাখিল করার নির্দেশ দিয়েছিলেন পারিবারিক আদালতের বিচারক। কিন্তু, প্রমাণ দিতে পারেননি তাঁরা। এরপরই ওই মহিলার বিবাহ-বিচ্ছেদের আবেদন মঞ্জুর করে আদালত।
[প্রকাশ্যে হিজাব পরে উদ্দাম নাচ তিন তরুণীর, নেটদুনিয়ায় নিন্দার ঝড়]
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2024 Pratidin Prakashani Pvt. Ltd. All rights reserved.