সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: ‘হাতি পোষার শখ’…অন্যকে বেহিসেবি খরচ-খরচা করতে দেখলে এই কথাটা অনেকেই ব্যঙ্গ করে বলে থাকেন। কিন্তু অনেকেরই শখ থাকে হাতি পোষার। এবার সেই শখ পূরণ হতে পারে খুব সহজেই। গজরাজকে পোষ মানাতে এবার আর তেমন কোনও বিধিনিষেধ আর জারি থাকছে না। কর্ণাটক হাই কোর্ট (Karnataka High Court) জানিয়েছে, এবার থেকে বাণিজ্যিক কাজে ব্যবহার না করলে হাতি পোষা কিংবা দত্তক নেওয়ার ক্ষেত্রে কোনও বাধা নেই আর।
কর্ণাটক হাই কোর্টের এই সংক্রান্ত একটি জনস্বার্থ মামলা দায়ের করেছিলেন এম এস মুরলি নামে জামনগরের এক ব্যক্তি। গুজরাটের রাধেকৃষ্ণ মন্দিরের ওয়েলফেয়ার ট্রাস্টের বেশ কয়েকটি হাতি (Elephant) দত্তক নিয়েছে। সেই ঘটনার বিরোধিতাতেই জনস্বার্থ মামলা দায়ের করেছিলেন এম এস মুরলি। মঙ্গলবার সেই মামলার রায়দান ছিল। রাধেকৃষ্ণ মন্দিরের ট্রাস্টও জানায়, তাদের কাছে হাতি দত্তক নেওয়ার সবরকম বৈধ কাগজপত্র আছে। তারা ধর্মীয় রীতিনীতি মেনে হাতিদের যত্ন নেয়। বন্যপ্রাণ বিশেষজ্ঞদের সঙ্গে পরামর্শ করে হাতি দত্তক নেওয়া হয়েছিল, আদালতে সেইমতো তথ্যপ্রমাণও পেশ করে তারা।
এম এস মুরলি বন্যপ্রাণ সংরক্ষণ আইনের ৪৯ নং ধারা অনুযায়ী মামলা দায়ের করেছিলেন। তবে সবরকম তথ্যপ্রমাণ দেখে কর্ণাটক হাই কোর্টের প্রধান বিচারপতি ঋতুরাজ অবস্থি এবং বিচারপতি অশোক এস কিনাগির বেঞ্চ জানায়, এতে কোনও বেনিয়ম নেই। বলা হয়, ব্যক্তিগতভাবে কেউ যদি হাতি পুষে থাকেন, তাতে যদি কোনওরকম ব্যবসায়িক লেনদেন না থাকে, তাহলে আদালতের কিছু বলার নেই। কেউ হাতিদের সুরক্ষা অর্থাৎ পাচার হওয়া থেকে উদ্ধার করতেও অনেকে তাদের দত্তক নেন। এসব ক্ষেত্রে হাতি দত্তক কিংবা পোষা কিছু বেআইনি নয়।
সমস্ত তথ্যপ্রমাণ খতিয়ে দেখে আদালত রাধাকৃষ্ণ মন্দির ওয়েলফেয়ার ট্রাস্টের পক্ষেই রায় দেয়। কর্ণাটক হাই কোর্টের রায়ে স্বভাবতই খুশি তাঁরা। শুধু তো মন্দির কর্তৃপক্ষই নয়। হস্তীপ্রেমীরা নিশ্চিন্ত হলেন এই রায়ে।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2024 Pratidin Prakashani Pvt. Ltd. All rights reserved.