সোমনাথ রায়, নয়াদিল্লি: রাজ্যের বিশ্ববিদ্যালয়গুলিতে উপাচার্য (VC) নিয়োগ মামলায় শীর্ষ আদালতে কার্যত ভর্ৎসনার মুখে পড়তে হল আচার্য তথা রাজ্যপালকে। মামলা বিচারাধীন থাকা সত্ত্বেও কেন রাজ্যপাল সিদ্ধান্ত নিয়েছেন, তা জানতে চেয়ে সুপ্রিম কোর্ট (Supreme Court) সি ভি আনন্দ বোসকে নোটিস পাঠাল। এক সপ্তাহের মধ্যে তাঁকে নোটিসের জবাব দিতে হবে। পরবর্তী শুনানি ৩১ অক্টোবর।
শুক্রবার এই মামলার শুনানিতে শীর্ষ আদালতে রাজ্যের হয়ে সওয়াল করেন বর্ষীয়ান কংগ্রেস নেতা অভিষেক মনু সিংভি (Abhishek Sighvi)। তিনি সওয়াল করেন, উপাচার্য নিয়োগ সংক্রান্ত মামলা বিচারাধীন। তাই এই সময়ের মধ্যে নিযুক্ত হওয়া নতুন উপাচার্যরা যাতে কোনও গুরুত্বপূর্ণ বিষয়ে নীতিগত সিদ্ধান্ত নিতে না পারেন, তা নিশ্চিত করা হোক। এর পর বিচারপতিদের পর্যবেক্ষণ, যাঁদের অন্তর্বর্তী উপাচার্য হিসেবে নিয়োগ করা হয়েছে, তাঁরা নিজেদের বেতন পাবেন, কিন্তু উপাচার্য হিসেবে কোনও বাড়তি সুযোগ-সুবিধা, বাড়তি আর্থিক সুবিধাও পাবেন না।
এদিন সুপ্রিম কোর্ট প্রশ্ন তোলে, মামলা যখন বিচারাধীন রয়েছে, সেই সময় নিয়োগের ক্ষমতা রাজ্যপালকে কে দিয়েছে? কলকাতা হাই কোর্টের নির্দেশে এমন কোনও ক্ষমতা রাজ্যপালকে দেওয়া হয়নি। এর পর বিচারপতিরা জানান, বিশ্ববিদ্যালয়ের স্বার্থে নবনিযুক্ত উপাচার্যদের দৈনন্দিন কাজের ক্ষেত্রে শীর্ষ আদালত হস্তক্ষেপ করবে না। তবে পরবর্তী নির্দেশ না আসা পর্যন্ত আর কোনও নতুন নিয়োগ করতে পারবেন না রাজ্যপাল।
অস্থায়ী উপাচার্য নিয়োগের সিদ্ধান্ত মামলায় রাজ্যপাল সুপ্রিম কোর্টে এভাবে ধাক্কা খাওয়ায় তৃণমূলের (TMC) তরফে সুদীপ বন্দ্যোপাধ্যায়ের প্রতিক্রিয়া, “২৪ ঘন্টাও হয়নি অভিষেক এখানে। তার মধ্যে রাজ্যপাল দিল্লি যাচ্ছেন, কেরল যাচ্ছেন। এর মধ্যেই সুপ্রিম করতে হেরে গেলেন রাজ্যপাল। অস্থায়ী উপাচার্য নিয়োগ করতে পারলেন না। অভিষেক বসার ২৪ ঘণ্টার মধ্যেই এই খবর আসতে শুরু করেছে। রাজ্যপাল ভালো চাইলে দ্রুত ফিরুন। আমাদের সঙ্গে আলোচনায় বসুন। নইলে কপালে অনেক দুঃখ আছে।”
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2024 Pratidin Prakashani Pvt. Ltd. All rights reserved.