সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: লাদাখে সেনা প্রত্যাহার নিয়ে চিনের ‘মিথ্যাচার’ অব্যাহত। বহু তর্ক-বিতর্কের পর গালওয়ান উপত্যকা থেকে সেনা প্রত্যাহার করলেও প্যাংগং শো (Pangong Tso) এলাকা এখনও ফাঁকা করেনি লালফৌজ (People Liberation Army)। এক সর্বভারতীয় সংবাদমাধ্যমের দাবি, আগের তুলনায় কিছুটা কম হলেও, প্যাংগং এলাকায় বহু চিনা সেনা ভারতীয় ভুখণ্ডে ঢুকে বসে আছে। চিনের এই মিথ্যাচারে রীতিমতো বিরক্ত ভারত। শুক্রবার ফের বৈঠকে বসছে দুই দেশ।
India China diplomatic engagement – another round of virtual meet of the WMCC (Working Mechanism for Consultation and Coordination) on border affairs to take place tomorrow: Sources pic.twitter.com/GtGgKVWTlW
— ANI (@ANI) July 9, 2020
উল্লেখ্য, গত ১৫ জুনের সংঘর্ষের পর শান্তি ফেরানো নিয়ে দুই দেশের সেনা কর্তারা মোট তিন দফায় বৈঠক করেছেন। সূত্রের খবর, এই ৩ দফার বৈঠকে সীমান্ত সমস্যার স্থায়ী কোনও সমাধানসুত্র না বেরলেও দুই দেশই গালওয়ান-সহ কয়েকটি সংঘর্ষের কেন্দ্রবিন্দু থেকে সেনা প্রত্যাহারের ব্যপারে ঐক্যমত হয়েছে। গত ৩০ জুনের বৈঠকে সেনা প্রত্যাহার নিয়ে চূড়ান্ত রোডম্যাপও তৈরি হয়েছে। সেদিনের সিদ্ধান্ত অনুযায়ীই গালওয়ান (Galwan Valley) থেকে সেনা সরিয়েছে ড্রাগন। অল্প কিছু সেনা সরেছে প্যাংগং এলাকা থেকেও। কিন্তু এক সর্বভারতীয় সংবাদমাধ্যমের দাবি, ওই এলাকা এখনও পুরোপুরি চিনাদের দখলমুক্ত নয়। সূত্রের খবর, গ্যাংগংয়ের ফিংগার ফোর থেকে ফিংগার এইটের মধ্যে প্রায় ৩ হাজার চিনা সেনা মোতায়েন আছে।
অথচ, ঐতিহাসিকভাবে ওই এলাকা ভারতের অন্তর্গত। ৩০ জুনের বৈঠকে হওয়া চুক্তি অনুযায়ীও ওই এলাকা থেকে চিনা সেনা সরে যাওয়ার কথা। কিন্তু শেষ মুহূর্তে বেঁকে বসেছে ড্রাগন। চিনারা এখন ‘ফিংগার টু’ পর্যন্ত এলাকায় নিজেদের অধিকার দাবি করছে। তবে স্বস্তির খবর, ফিংগার টু এবং ফিংগার থ্রি এখনও ভারতীয় সেনার দখলেই আছে। নতুন করে উদ্ভুত এই সমস্যা মেটাতে আগামিকাল অর্থাৎ শুক্রবার ফের বৈঠকে বসছে দুই দেশ।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2024 Pratidin Prakashani Pvt. Ltd. All rights reserved.