সোমনাথ রায়, নয়াদিল্লি: নির্বাচনে একজন প্রার্থীর একাধিক আসনে লড়া উচিত কি? এই প্রশ্ন বারবার উঠছে গত কয়েক দশকে। সম্প্রতি সুপ্রিম কোর্টে (Supreme Court) এই বিষয়ে একটি জনস্বার্থ মামলা হয়। আবেদনে আদালতে দাবি করা হয়, নতুন আইন প্রণয়ন করে একজন প্রার্থীর একাধিক আসনে লড়ায় নিষেধাজ্ঞা আনা হোক। বৃহস্পতিবার ওই মামলা খারিজ করে শীর্ষ আদালত জানিয়ে দিল, বিষয়টিতে তারা হস্তক্ষেপ করবে না। এই বিষয়ে আইন প্রণয়ন তথা সিদ্ধান্তের গ্রহণের এক্তিয়ার রয়েছে সংসদের (Parliament)।
১৯৯৬ সাল পর্যন্ত এক সঙ্গে দুইয়ের বেশি নির্বাচনী কেন্দ্র থেকে লড়তে পারতেন একজন ব্যক্তি। রিপ্রেজেনটেশন অফ পিপল অ্যাক্ট সংশোধন করে একসঙ্গে দু’টি কেন্দ্রে লড়ার অনুমতি দেওয়া হয়েছিল। ২০০৪ সালে আবার আইন সংশোধনের প্রস্তাব আনা হয়। কিন্তু সেই প্রস্তাব নিয়ে আর কোনও উদ্যোগ নেওয়া হয়নি সরকারি তরফে। একই ব্যক্তি দু’টি কেন্দ্রে লড়াই করলে ফল প্রকাশের পরে একটি আসন ফাঁকা হয়ে যাওয়ার সম্ভাবনা থেকেই যায়। একই ব্যক্তি দু’টি কেন্দ্রের নির্বাচিত জনপ্রতিনিধি হতে পারেন না। সেখানে উপনির্বাচন করতে আবার প্রচুর পরিমাণে খরচ হয় নির্বাচন কমিশনের (Election Commission of India)। মাঝে সাধারণ মানুষের করের অর্থ সাশ্রয় করতে কেন্দ্রের কাছে আইন বদলের প্রস্তাব করেছিল জাতীয় নির্বাচন কমিশন। যদিও এই বিষয়ে সরকার এখনও পর্যন্ত মতামত জানায়নি।
এরই মধ্যে সুপ্রিম কোর্টে এই বিষয়ে জনস্বার্থ মামলা করেন রাজনৈতিক ব্যক্তিত্ব তথা আইনজীবী অশ্বিনী উপাধ্যায়। সেই আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে শীর্ষ আদালত এদিন জানিয়ে দিল, বিষয়টিতে তারা হস্তক্ষেপ করতে চায় না। আদালতের মন্তব্য, “এটি একটি নীতিগত বিষয়… গণতান্ত্রিক রাজনৈতির ইস্যু। এই বিষয়ে দেশের সংসদ সিদ্ধান্ত নিতে পারে।” প্রয়োজনে সংসদ এই বিষয়ে নীতি ঠিক করতে পারে বলে মামলা খারিজ করে দেয় সুপ্রিম কোর্ট।
প্রসঙ্গত, ২০২২ সালের জুন মাসে নির্বাচন কমিশন সুপারিশ করেছিল, কোনও প্রার্থী যদি দু’টি কেন্দ্র থেকে লড়তে চান, তাহলে তাঁকে জরিমানা করা হোক। এর আগের প্রস্তাবে বলা হয়েছিল, দু’টি কেন্দ্র থেকে বিধানসভা নির্বাচনে লড়লে জরিমানা দিতে হবে পাঁচ লক্ষ টাকা। লোকসভা নির্বাচনের ক্ষেত্রে সেই অঙ্ক বেড়ে হবে দশ লক্ষ টাকা।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2024 Pratidin Prakashani Pvt. Ltd. All rights reserved.