সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: পশ্চিমবঙ্গ, কেরল, পাঞ্জাব, মধ্যপ্রদেশের, বি্হারের পথে হেঁটে এবার NRC ও CAA কার্যকর করতে দেবে না মহারাষ্ট্র সরকার। শনিবার এমনই ইঙ্গিত দিলেন মহারাষ্ট্রের জোট সরকারের শরিক এনসিপির প্রধান শরদ পওয়ার। তবে এ বিষয়ে শিবসেনার তরফে কোনও প্রতিক্রিয়া দেওয়া হয়নি। নাগরিকত্ব (সংশোধিত) আইনের বিরোধিতায় উত্তাল গোটা দেশ। এর মধ্যেই শরদ পওয়ারের এই বিবৃতি কেন্দ্রে ক্ষমতাসীন বিজেপির উপর চাপ বাড়াবে বলেই মনে করছেন রাজনৈতিক মহল।
লোকসভায় নাগরিকত্ব সংশোধনী বিলের স্বপক্ষেই ভোট দিয়েছিল শিবসেনা। কিন্তু মহারাষ্ট্রের জোট শরিক কংগ্রেস ও এনসিপির চাপে রাজ্যসভায় ওই বিলের স্বপক্ষে ভোট দেয়নি তাঁরা। বদলে রাজ্যসভা থেকে ওয়াকআউট করেন শিবসেনার সাংসদেরা। এরপরই এই আইনের বিরুদ্ধে দেশে প্রতিবাদের স্বপক্ষেই মুখ খুলেছিলেন বিজেপির দীর্ঘ তিন দশকের জোটসঙ্গী শিবসেনার প্রধান উদ্ধব ঠাকরেও। জামিয়া মিলিয়া ইসলামিয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের ভিতরে পুলিশি অত্যাচারের সঙ্গে জালিয়ানওয়ালাবাগ হত্যাকাণ্ডের সঙ্গে তুলনা টেনেছিলেন মহারাষ্ট্রের মুখ্যমন্ত্রী উদ্ধব। এমনকী ধর্মের সঙ্গে রাজনীতি মিলিয়ে ফেলা শিবসেনার ভুল ছিল বলেও মন্তব্য করেন তিনি। পুরানো জোটসঙ্গীর এহেন বেসুরো গাওয়ায় এমনিতেই চাপে পড়েছিল বিজেপি। এরপর মহারাষ্ট্রের ক্ষমতাসীন সরকারের জোটসঙ্গী এনসিপি প্রধানের এহেন মন্তব্যে সেই চাপ আরও বাড়ল।
ঠিক কী বলেছেন এনসিপি প্রধান শরদ পওয়ার? তাঁর অভিযোগ, “দেশের অর্থনীতির দুরবস্থা থেকে নজর ঘোরাতেই বিজেপির চাল এটা। CAA ও NRC চালু করে দেশের সামাজিক ও ধর্মীয় শান্তি নষ্ট করতে চাইছে বিজেপি।” একইসঙ্গে তাঁর দাবি, “ইতিমধ্যে আটটি রাজ্যের সরকার জানিয়েছে তাঁরা এনআরসি মানবে না। একই পথে হেঁটেছেন বিজেপির জোট শরিক জেডিইউ শাসিত বিহারও। মহারাষ্ট্র সরকারের একই কাজ করা উচিৎ।”
মহারাষ্ট্রে একাধিক এলাকায় বিতর্কিত আইনের বিরুদ্ধে প্রতিবাদ মিছিল হয়েছে। অন্যান্য রাজ্যের মতো প্রশাসনের তরফে মিছিল আটকানোর চেষ্টা করা হয়নি। শান্তিপূর্ণভাবে মিছিল হয়। এমনকী এ বিষয়ে কোনও মন্তব্যও করেনি শিবসেনার সরকার। তারপরই তাদের জোটসঙ্গীর এহেন মন্তব্য যে বিজেপির রক্তচাপ বাড়াবে তা বলাই বাহুল্য।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2024 Pratidin Prakashani Pvt. Ltd. All rights reserved.