সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: ভারতীয় সভ্যতায় পয়লা জানুয়ারির কোনও প্রাধান্য নেই। তাই ঘটা করে ‘নিউ ইয়ার’ পালন করার কোনও মানে হয় না। এমনটা যারা করবে তাদের উপযুক্ত শাস্তি দেওয়া হবে। এমনই হুঁশিয়ারি দিলেন অন্ধ্রপ্রদেশের চিলকুর বালাজি মন্দিরের পুরোহিত কৃষ্ণমূর্তি।
[সহায় বাজপেয়ী, এবার মাত্র ১০ টাকায় মিলবে ভরপেট খানা]
অন্ধ্রের এই মন্দিরটি ভিসা বালাজি মন্দির হিসেবেই প্রসিদ্ধ। প্রসঙ্গত, এখানে ইংরাজি নতুন বর্ষেই বেশি ভক্তের ভিড় হয়ে থাকে। এতেই আপত্তি তুলেছেন মন্দিরের পুরোহিত কৃষ্ণমূর্তি। এদিন সংবাদমাধ্যমের সামনে তিনি বলেন, ‘আমাদের নিজের ধর্মকে রক্ষা করতে হবে। ইংরাজি ক্যালেন্ডার আমাদের ঐতিহ্য নয়। উগাড়িই আমাদের নতুন বছর। একাদশী, অমাবস্যা, পূর্ণিমা, কার্তিক মাস আমাদের কাছে গুরুত্বপূর্ণ। ১ জানুয়ারি নিয়ে আমাদের ভাবার প্রয়োজন নেই। চিলকুরে এসে হ্যাপি নিউ ইয়ার বললেই উপযুক্ত শাস্তি দেওয়া হবে।
প্রসঙ্গত, কিছুদিন আগে অন্ধ্রপ্রদেশ সরকারের পক্ষ থেকেও একই সুর তোলা হয়েছে। হিন্দু ধর্ম পর্যবেক্ষণ ট্রাস্ট মারফত একটি সার্কুলার জারি করা হয়েছিল। যেখানে বলা হয়েছিল, ইংরাজি নতুন বছরে রাজ্যের কোনও মন্দিরে বিপুল ব্যয়ে কোনও অনুষ্ঠান করা যাবে না। রাজ্যের এক প্রশাসনিক কর্তা বলেন, ‘৭০ বছর আগে ভারত স্বাধীনতা পেয়েছে। কিন্তু এখনও ব্রিটিশদের চালু করা ইংরেজি ক্যালেন্ডার মেনেই আমাদের কেন চলতে হবে? পয়লা জানুয়ারি কোনও অনুষ্ঠানকে আমাদের বৈদিক সভ্যতা অনুমোদন দেয় না।’
[কেন্দ্রীয় মন্ত্রীর জিভ কাটলে মিলবে ১ কোটি টাকা, ফতোয়ায় বিতর্ক]
ট্রাস্টের সচিব সি রাঘবাচার্যলু বলেন, ‘কয়েকটি মন্দিরে ব্রিটিশ নিয়ম অনুযায়ী নতুন বছর পালন করা হয়। আর এর জন্য লক্ষ লক্ষ টাকা ব্যয় করা হয়। কোনও আনন্দের অনুষ্ঠানে টাকা খরচ করা যেতেই পারে। তবে তা ভারতীয় সভ্যতার অঙ্গ হওয়াই যুক্তিযুক্ত। বিদেশি অনুষ্ঠানের জন্য কেন এত টাকা ব্যয় করা হবে? এই প্রশ্নই তোলেন তিনি।
[পারলে কন্ডোম বানিয়ে দেখান, রামদেবকে চ্যালেঞ্জ রাখি সাওয়ান্তের]
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2024 Pratidin Prakashani Pvt. Ltd. All rights reserved.