Advertisement
Advertisement

Breaking News

Supreme Court

‘সরকারি কর্মীর বিরুদ্ধে দুর্নীতির তদন্তে প্রত্যক্ষ প্রমাণের প্রয়োজন নেই’, জানাল সুপ্রিম কোর্ট

পারিপার্শ্বিক প্রমাণের ভিত্তিতেও দোষী প্রমাণ করা যাবে সরকারি কর্মীদের।

No need for first hand proof against government employees in corruption case, says Supreme Court | Sangbad Pratidin
Published by: Anwesha Adhikary
  • Posted:December 16, 2022 1:55 pm
  • Updated:December 16, 2022 1:55 pm  

সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: সরকারি কর্মীদের (Government Employee) বিরুদ্ধে দুর্নীতির অভিযোগ সংক্রান্ত বিষয়ে গুরুত্বপূর্ণ অভিমত দিল সুপ্রিম কোর্ট। বৃহস্পতিবার একটি মামলার সুপ্রিম কোর্টের সাংবিধানিক বেঞ্চ বলেছে, সরকারি কর্মচারীদের ক্ষেত্রে দুর্নীতি, অনিয়মের অভিযোগে অভিযুক্ত করতে প্রত্যক্ষ প্রমাণ দাখিল করা পূর্বশর্ত নয়। পারিপার্শ্বিক তথ্যপ্রমাণের ভিত্তিতে একজন সরকারি কর্মচারীকে অভিযুক্ত করা যেতে পারে। ওয়াকিবহাল মহলের মতে, শীর্ষ আদালতের (Supreme Court) এই রায় দুর্নীতির তদন্তকারী সংস্থা এবং প্রশাসনিক কর্তাদের হাত শক্ত করবে। অন্যদিকে, অসৎ সরকারি কর্মীরাও সতর্ক হবেন।

এদিন, বিচারপতি এস আব্দুল নাজিরের নেতৃত্বে বিচারপতি ভি রামাসুব্রহ্মণ্যম, বিচারপতি বিআর গাভাই, বিচারপতি এএস বোপান্না এবং বিচারপতি বিভি নাগারথনার সাংবিধানিক বেঞ্চ রায়ের ব্যাখ্যা দিতে গিয়ে দৃষ্টান্ত তুলে ধরে বলেছে, ঘুষ নেওয়ার মতো অভিযোগে সবসময় টাকার হাতবদল বা কথোপকথনের নমুনা নাই-ই থাকতে পারে। কিন্তু ঘুষ নেওয়া অর্থের উৎস সন্ধান শুরু করলে অভিযোগের সত্যতা প্রমাণ করা কঠিন হয় না। সব সময় দলিল-নথি সহ প্রমাণ দাখিল করতে হবে এমন নয়।

Advertisement

[আরও পড়ুন: তাওয়াংকে ভারতে অন্তর্ভুক্তই করতে চাননি নেহরু! বিস্ফোরক অরুণাচলের মুখ্যমন্ত্রী]

সাংবিধানিক বেঞ্চের বক্তব‌্য, ধরা যাক, একজন সরকারি কর্মচারী ঘুষ দাবি করেননি। কিন্তু ঘুষ নেওয়ার প্রস্তাবে সায় দিয়েছেন। তাহলে কি তাঁকে সৎ বলা যাবে! বেঞ্চ স্পষ্ট করে দিয়েছে, সরকারি ব্যক্তির বিরুদ্ধে পরোক্ষ প্রমাণের ভিত্তিতেও দুর্নীতির অভিযোগে চার্জশিট দেওয়া যেতে পারে, যা আদালত গ্রাহ্য হবে।

প্রসঙ্গত, অন্ধ্রপ্রদেশে একজন পুলিশ অফিসারের বিরুদ্ধে দুর্নীতির অভিযোগে ব্যবস্থা গ্রহণের বিষয়ে মামলাটি একাধিক আদালত ঘুরে সুপ্রিম কোর্টে এসেছিল। তখন সুপ্রিম কোর্টের তিন সদস্যের বেঞ্চ দুর্নীতি প্রতিরোধ আইন অনুযায়ী প্রত্যক্ষ ও পরোক্ষ প্রমাণের ভিত্তিতে ব্যবস্থা নেওয়ার প্রশ্নে দ্বিধাবিভক্ত ছিল। এদিন অবশ‌্য, পাঁচ সদস্যের বেঞ্চ দুর্নীতির বিরুদ্ধে ‘জিরো টলারেন্স’ অবস্থান রক্ষার স্বার্থে বলেছে, সব ক্ষেত্রেই প্রত্যক্ষ প্রমাণ দাখিলের প্রয়োজন নেই।

[আরও পড়ুন: কর্ণাটকের খনি থেকে মিলবে ১৭ হাজার কোটি টাকার সোনা! উত্তোলনের বড় পদক্ষেপ কেন্দ্রের]

Sangbad Pratidin News App

খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ

Advertisement