সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: মহারাষ্ট্রের পালঘরের সাধুদের পিটিয়ে হ্ত্যার ঘটনায় কোনও মুসলমানের নাম জড়িত নয়। অকারণে এই ঘটনার মাধ্যমে সাম্প্রদায়িক বিদ্বেষ ছড়ানোর চেষ্টা করা হচ্ছে। এমনই দাবি করলেন সে রাজ্যের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অনিল দেশমুখ। এদিকে, এই ঘটনার প্রায় ছ’দিন পর তদন্তভার নিল সিআইডি।
এই ঘটনার পর থেকেই বিভিন্ন মহলে উঠেছে সমালোচনার সুর। উদ্ধব ঠাকরের প্রশাসনের দিকে অভিযোগের আঙুল তুলে উচ্চপর্যায়ের তদন্তের দাবি জানায় বিজেপি। চাপের মুখে পড়ে সাধুদের পিটিয়ে হত্যার ঘটনায় তদন্তভার সিআইডিকে দেওয়া হয়েছে। তদন্তের দায়িত্ব নেওয়ার মাত্র আট ঘণ্টার মধ্যে এই ঘটনায় জড়িত মোট ১০১ জন সন্দেহভাজনের নাম প্রকাশ করেন আধিকারিকরা। এ প্রসঙ্গে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অনিল দেশমুখ বলেন, “এই ঘটনায় এখনও পর্যন্ত জড়িত ১০১ জনের নাম প্রকাশ করা হয়েছে। কিন্তু কোনও মুসলমানের নাম ওই তালিকায় নেই। সোশ্যাল মিডিয়ায় ভাইরাল হওয়া বেশ কয়েকটি ভিডিও আমি দেখেছি। যাতে এডিট করে বিশেষ প্রযুক্তির মাধ্যমে বিভিন্ন শব্দ বদল করা হয়েছে। ইচ্ছা করে এই ঘটনার সঙ্গে সাম্প্রদায়িকতাকে জড়ানো হচ্ছে।” এদিকে, পালঘরের এই ঘটনা নিয়ে উদ্ধব ঠাকরের সঙ্গে কথা হয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী। এই ঘটনার সঙ্গে অকারণে ধর্মকে জড়ানো হচ্ছে বলেও দাবি তাঁর।
पालघर की घटना में पुलिस हिरासत हुए १०१ लोगों की सूची यहाँ सांझा की जा रही है। जो विघ्नसंतोषी इस घटना को धार्मिक रंग देने की पूरी कोशिश कर रहे थे, वह इसे ध्यानपूर्वक पढ़ें…#ZeroToleranceForCommunalism#LawAndOrderAboveAll pic.twitter.com/o70b2YNHQq
— ANIL DESHMUKH (@AnilDeshmukhNCP) April 22, 2020
গত ১৬ এপ্রিল গভীর রাতে স্থানীয় জুনা আখড়ার দুই সাধু সুশীল গিরি মহারাজ ও চিকানে মহারাজ কালপাভরিক্ষগিরি একটি গাড়িতে চড়ে সুরাটে যাচ্ছিলেন। তাঁদের গাড়ি চালাচ্ছিলেন নীলেশ তেলগানে নামে এক যুবক। পরিচিত একজনের শেষকৃত্যে যোগ দিতে যাচ্ছিলেন তাঁরা। পালঘরের কাছে বেশ কয়েকজন তাদের গাড়ি আটকায়। অনেকে বলতে থাকে, তিনজনে কিডনি বিক্রি করে টাকা উপার্জনের আশায় বেশ কয়েকটি শিশুকে চুরি করেছে। এই অভিযোগে গাড়ি থেকে নামিয়ে বেধড়ক মারধর করা হয় তাদের। খবর পেয়ে পুলিশ তাঁদের উদ্ধার করতে আসে। অভিযোগ, পুলিশের উপরেও হামলা চালায় উত্তেজিত জনতা। ভাঙচুর করা হয় পুলিশের গাড়িতেও। বেশ কিছুক্ষণ পর পুলিশ পরিস্থিতি সামাল দেয়। তিনজনকে উদ্ধার করে হাসপাতালে পাঠানো হয়। তবে হাসপাতালেই মারা যান ওই তিনজন। এলাকার শিশুদের অপহরণ করে অঙ্গপ্রত্যঙ্গ চুরি করতে এসেছে তিনজন, এই গুজবের জেরে মর্মান্তিক এই ঘটনা ঘটেছে।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2024 Pratidin Prakashani Pvt. Ltd. All rights reserved.