Advertisement
Advertisement

Breaking News

ইমামবাড়া

শর্ট স্কার্ট পরে ঢোকা যাবে না ইমামবাড়ায়, নিদান লখনউয়ের জেলাশাসকের

ঐতিহ্যের কথা মাথায় রেখে নেওয়া হয়েছে সিদ্ধান্ত, জানাচ্ছে প্রশাসন।

No more short skirts, skimpy tops at Lucknow Imambaras, says DM
Published by: Subhajit Mandal
  • Posted:June 30, 2019 9:12 pm
  • Updated:June 30, 2019 9:12 pm  

সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: সমাজ এগিয়েছে। কিন্তু তথাকথিত মৌলবাদীদের মানসিকতার তেমন পরিবর্তন যে হয়নি, তাঁর জলজ্যান্ত প্রমাণ মিলল লখনউয়ে। লখনউ জেলাজুড়ে মহিলাদের জন্য নিন্দনীয় ফতোয়া জারি করলেন খোদ জেলাশাসক। লখনউয়ের জেলাশাসক কৌশল রাজ শর্মা নিদান জারি করেছেন, শহরের ইমামবাড়াগুলিতে ঢুকতে হলে পরতে হবে শরীর ঢাকা পোশাক। শর্ট স্কার্ট বা আঁটসাঁট টপ পরা যাবে না। এমন পোশাক পরতে হবে যাতে শরীরের যতটা অংশ খোলা থাকে তার থেকে বেশি অংশ ঢাকা থাকতে হবে।

[আরও পড়ুন: দ্বিতীয় ইনিংসের প্রথম ‘মন কি বাত’, জল সংরক্ষণেই জোর মোদির]

দীর্ঘদিন ধরেই ইমামবাড়ায় ‘অভব্যতা’ বন্ধ করার দাবি জানিয়ে আসছিল লখনউয়ের শিয়া সম্প্রদায়ের মুসলিমরা। একাধিকবার জেলাশাসকের দরজাতেও টোকা দিয়েছেন তাঁরা। অবশেষে তাদের সঙ্গে শনিবারই বৈঠক করেন কৌশল রাজ শর্মা। তারপরই তিনি জানিয়ে দেন, “ছোট বা বড় ইমামবাড়াতে আর ছোট পোশাক পরে ঢোকা যাবে না। আর শর্ট স্কার্ট বা আঁটসাঁট পোশাক পরা যাবে না। পর্যটকদের এমন কোনও পোশাক পরতে হবে যাতে শরীরের অনেকটা অংশ ঢাকা থাকে। এমনকী ইমামবাড়াতে পেশাগত ফটোগ্রাফি বা ফটোশুটও করা যাবে না। সবকিছু নিষিদ্ধ করা হয়েছে। যে কোনও জায়গারই একটা ঐতিহ্য থাকে। লখনউয়ের শতাব্দীপ্রাচীন ইতিহাসের কথা মাথায় রেখে এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।”

Advertisement

[আরও পড়ুন: দুর্নীতি রুখতে পদক্ষেপ, দ্রুত ‘এক দেশ এক রেশন কার্ড’ চালুর উদ্যোগ মোদি সরকারের]

জেলাশাসক আরও জানিয়েছেন, ইমামবাড়াগুলির সব প্রহরী এবং গাইডদের জানিয়ে দেওয়া হয়েছে, পর্যটকদের এখন থেকে এই সৌধগুলিতে প্রবেশ করতে হলে পোশাকবিধি মেনে চলতে হবে। বেশ কিছুদিন আগেই স্থানীয় কিছু শিয়া মৌলবী, এলাকার নাগরিক সমাজের কিছু প্রতিনিধি এবং ইতিহাসবিদরা ইমামবাড়াগুলিতে অসংলগ্ন পোশাক পরে পর্যটকদের ঘোরাফেরা নিয়ে অভিযোগ জানিয়েছিলেন। এমনকী প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি, মুখ্যমন্ত্রী যোগী আদিত্যনাথ এবং জেলার আধিকারিকদের চিঠিও লিখেছিলেন। তারপরই বৈঠকের সিদ্ধান্ত নেন জেলাশাসক। ঐতিহাসিক এবং শিয়া সম্প্রদায়ের ভাবাবেগের কথা মাথায় রেখেই এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে বলে জানানো হয়েছে।

Sangbad Pratidin News App

খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ

Advertisement