সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: মহারাষ্ট্রের মর্মান্তিক দুর্ঘটনার জেরে শোকে মূহ্যমান গোটা দেশ। এই পরিস্থিতিতে কোনও পরিযায়ী শ্রমিক (migrant labourer) বা তাঁদের পরিবারের সদস্যরা যাতে পায়ে হেঁটে না ফেরেন। তা দেখার জন্য আধিকারিকদের নির্দেশ দিলেন উত্তরপ্রদেশের মুখ্যমন্ত্রী যোগী আদিত্যনাথ। এর আগে পরিযায়ী শ্রমিকদের উদ্দেশ্যে এই আবেদন জানিয়ে ছিলেন তিনি। তাঁর সরকার শ্রমিকদের ফিরিয়ে আনার জন্য সবরকম চেষ্টা করছে বলেও উল্লেখ্য করেছিলেন। বৃহস্পতিবার ফের এই বিষয়টি সুনিশ্চিত করার জন্য আধিকারিকদের নির্দেশ দিলেন।
মুখ্যমন্ত্রীর অফিসের তরফে প্রকাশিত বিবৃতিতে উল্লেখ করা হয়েছে, দিল্লির মতো বড় শহরগুলি থেকে উত্তরপ্রদেশের বাড়িতে যেন কোনও পরিযায়ী শ্রমিক পায়ে হেঁটে না আসেন। তাঁদের নিরাপদে ফিরিয়ে আনার বিষয়ে রাজ্য প্রশাসনের তরফে সবরকম চেষ্টা করা হচ্ছে। এই বিষয়ে মুখ্যমন্ত্রী প্রশাসনিক আধিকারিকদের সবরকমের ব্যবস্থা নেওয়ার নির্দেশ দিয়েছেন।
বৃহস্পতিবার যোগী আদিত্যনাথের নির্দেশের পরেও দিল্লি এবং নয়ডা থেকে ১৭২ জন শ্রমিক পায়ে হেঁটে উত্তরপ্রদেশে ফেরার চেষ্টা করছিলেন। কিন্তু, লখনউ থেকে ৫১৪ কিলোমিটার দূরে পশ্চিম উত্তরপ্রদেশের বুলন্দশহরের কাছে একটি হাইওয়ের উপর তাঁদের আটকে দেয় পুলিশ। তারপর তাঁদের খাবার খাইয়ে স্থানীয় একটি কলেজে থাকার ব্যবস্থা করে দেয়। শুক্রবার স্থানীয় প্রশাসনের তরফে তাঁদের বাড়ি ফেরার জন্য বাসের ব্যবস্থাও করে দেওয়া হয়েছে বলে খবর পাওয়া গিয়েছে। অন্যদিকে বৃহস্পতিবার পশ্চিম উত্তরপ্রদেশের ফিরোজাবাদ শহরেও দিল্লি, হরিয়ানা ও রাজস্থান থেকে পায়ে হেঁটে আসা একাধিক শ্রমিককে আটকে দেওয়া হয়।
তাঁদের মধ্যে নীতীন গোস্বামী নামে এক শ্রমিকের অভিযোগ, ‘আমি স্ত্রী ও দুবছরের সন্তানকে নিয়ে রাজস্থানের আলোয়ার থেকে হেঁটে আসছিলাম। প্রায় ১০০ কিলোমিটার হেঁটে আসার পর একটি ট্রাক দেখতে পাই। ১০ কিলোমিটার রাস্তার জন্য মাথাপিছু ১০০ টাকা ভাড়া নেন ট্রাকচালক। কিন্তু, কিছুটা আসার পরেই পথ আটকায় পুলিশ। ট্রাক থেকে নামিয়ে দেয়। আমরা ভেবেছিলাম পেটভরে খেতে দেওয়া হবে। কিন্তু, আমাদের খুব অল্প পরিমাণ পোলাও খেতে দেওয়া হয়েছিল।’
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2024 Pratidin Prakashani Pvt. Ltd. All rights reserved.