সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: করোনা আর লকডাউনে স্কুল বন্ধ। তাই স্বাভাবিক নিয়মেই মিড-ডে মিলও নেই। যে কারণে, বিপিএল তালিকাভুক্ত পড়ুয়ারা পেটের টানে কেউ ভিক্ষা করছে। কেউ আবার রাস্তায় বসে পড়েছে ফাস্ট ফুড নিয়ে। বিক্রি হলে তবে পেটে দু:মুঠো অন্ন জুটবে।
বিহারের ভাগলপুরের (Bhagalpur) দিকে তাকালে এই ছবিটাই এখন খুব চেনা। এক স্থানীয় বাসিন্দার কথায়, করোনা খবরে আসার আগে ছেলেমেয়েগুলোর দুপুরের খাবারটা বাধা ছিল। স্কুলেই। কিন্তু সেই স্কুল বন্ধ থাকায় আর সেই খাওয়াটাও হচ্ছে না। তার মধ্যে বৃষ্টির সময় চলছে। কোনও কাজ করে থাবে, তারও উপায় নেই।
ভাগলপুরের বাবিল্লা বলে একটা এলাকায় প্রায় ১০০০ পড়ুয়ার বাস। যাদের মিল-ডে মিলের (Midday Meal) উপর ভরসা করে দিন কাটত। কিন্তু এখন কেউ ভিক্ষা করছে। কেউ ফাস্ট ফুডের স্টলে কাজ করছে। সেখান থেকেই যে যতটুকু পারছে করে খাচ্ছে। এটা চলছে সেই ১৪ মার্চ থেকে। তবে প্রশাসনকে প্রশ্ন করা হলে, তাদের সাফ জবাব, প্রথম থেকে পঞ্চম শ্রেণি অবধি এরাজ্যের পড়ুয়াদের মা বাবাদের ব্যাংক অ্যাকাউন্টে ১৪১ টাকা করে দেওয়া হয়েছে। তাদের উপরে অর্থাৎ ষষ্ঠ শ্রেণি থেকে অষ্টম শ্রেণির জন্য ১৭১ টাকা দেওয়া হয়েছে।কিন্তু তা যে যথেষ্ট নয়, সেটা হয়তো বলার অপেক্ষা রাখে না।
গোটা ঘটনার কথা জানার পর বিহারের মানবাধিকার কমিশন রিপোর্ট চেয়েছে। আগামী চার সপ্তাহের মধ্যে সেই রিপোর্ট জমা দেওয়ার কথা। সংবাদমাধ্যমে খবর প্রকাশের পর নড়েচড়ে বসেছে রাজ্য সরকার। গতকালই বিজ্ঞপ্তি দিয়ে ঘোষণা করা হয়েছে, রাজ্যজুড়ে স্কুলপড়ুয়াদের বাড়িতে বাড়িতে পৌঁছে দেওয়া হবে রেশন। কিন্তু আসল প্রশ্নটা থেকেই যাচ্ছে। লকডাউন এবং আনলক মিলিয়ে ৩ মাস সংবাদমাধ্যমে খবর প্রকাশের পর এসে প্রশাসনের মনে পড়ল পড়ুয়াদের রেশনের কথা!
ছবি প্রতীকী
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2025 Sangbad Pratidin Digital Pvt. Ltd. All rights reserved.