Advertisement
Advertisement

ড্রাগনের হুঙ্কারই সার, তিব্বতে নেই লালফৌজ

পুরোটাই চিনা খবরের কাগজের কারচুপি...

No major PLA build-up in Tibet: India
Published by: Sangbad Pratidin Digital
  • Posted:July 20, 2017 5:35 am
  • Updated:July 20, 2017 5:35 am  

সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: লাদাখ থেকে অরুণাচল প্রদেশ পর্যন্ত বিস্তৃত লাইন অফ অ্যাকচুয়াল কন্ট্রোল বা LAC-তে চিনা সেনা মোতায়েনের দাবি উড়িয়ে দিল ভারত। সম্প্রতি চিনা মিডিয়ার একাংশ দাবি করে, ভারতের সীমান্তে চিনের পিপলস লিবারেশন আর্মি বা PLA ব্যাপক ফৌজ মোতায়েন করেছে। আমদানি করা হচ্ছে টন টন সামরিক সরঞ্জাম, গোলাবারুদ। ভারতের বিরুদ্ধে বড়সড় যুদ্ধের জন্য পূর্ণাঙ্গ প্রস্তুতি সেরে ফেলেছে লাল চিন। কিন্তু এবার ভারতীয় গোয়েন্দা ও স্বরাষ্ট্রমন্ত্রকের বড়কর্তারা সাফ জানিয়ে দিলেন, সেনা মোতায়েনের খবর পুরোটাই ভুয়ো। তিব্বতের কাছে সিকিম সীমান্তে বড় ধরনের কোনও ট্রুপ মোবিলাইজেশনের খবর নেই।

[ভারতের বিরুদ্ধে যুদ্ধের প্রস্তুতি চিনের, তিব্বতে ঢুকছে হাজার হাজার লালফৌজ]

কেন্দ্র জানাচ্ছে, ভারতের উপর মানসিক চাপ বাড়াতেই চিনা মিডিয়া সিকিম সীমান্তে সেনা মোতায়েনের খবর ফলাও করে ছেপেছে। সরকার না চাইলে চিনা সংবাদপত্রগুলি এক লাইনও ছাপতে পারে না। সীমান্ত পরিস্থিতি নিয়ে যখন দুই দেশের মধ্যে টানাপোড়েন যখন তুঙ্গে, সেই সময় নয়াদিল্লির উপর চাপ বাড়াতেই বেজিং নয়া রণকৌশল নিয়েছে বলেই মনে করছে কেন্দ্রীয় সংস্থাগুলি। কেন্দ্রের একটি সূত্রের খবর, তিব্বতে এখনও তেমন বড় মাপের সেনাবাহিনীর গতিবিধির খবর নেই। এমনকী, তিব্বতে লালফৌজের মহড়া নিয়ে যেভাবে প্রচার চালানো হচ্ছে, সেটাকেও স্রেফ সস্তা জনপ্রিয়তা কুড়ানোর চেষ্টা বলে তকমা দিয়েছে ভারত। নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক ভারতের এক সেনাকর্তা বলেন, “জুন মাসে লাসায় এরকম মহড়া চালায় পিএলএ। সীমান্ত থেকে প্রায় ৭০০ কিলোমিটার দূরে। সব দেশের সেনাই নির্দিষ্ট কয়েকদিন অন্তর এরকম মহড়া চালায়। ভারতও চালিয়েছে। তিব্বতে ২০০৯ থেকেই এরকম মহড়া হয়ে আসছে।”

Advertisement

[‘ভারত-চিন সংঘাতের কারণ হতে পারে মোদির উগ্র হিন্দু জাতীয়তাবাদ’]

একটি চিনা সংবাদপত্রের দাবি মোতাবেক, রেল ও এক্সপ্রেসওয়ে ব্যবহার করে সিকিম সীমান্তে ভারী সেনা মোতায়েন ও অস্ত্রশস্ত্র মোতায়েন করতে চিনা সেনার লাগবে মাত্র ৬-৭ ঘন্টা। হংকং থেকে প্রকাশিত খবরের কাগজ সাউথ চায়না মর্নিং পোস্টে ফলাও করে ছাপা হয়, ভারতীয় সেনার মোকাবিলায় এবং ভারতের জমি দখল করতে হিমালয়ের বুক চিরে এই মসৃণ যোগাযোগ ব্যবস্থা কয়েক বছরের পরিশ্রমে গড়ে তুলেছে চিন। সিকিম সীমান্তের অচলাবস্থা জটিলতর হওয়ার পর থেকে ভারতকে শিক্ষা দিতে চিনের এই মহা আয়োজন। কুনলুন পর্বতের দক্ষিণে যেখানে এই বিপুল সেনা সমাবেশ ঘটানো হয়েছে। যে জায়গায় সামরিক সরঞ্জাম মজুত করা হয়েছে, সেখান থেকে সিকিম সীমান্ত ও ডোকলাম খুব একটা দূরে নয়। রেলপথে সেখানে সহজেই সেনা ও সরঞ্জাম পাঠানো যায়। কয়েকদিন আগেই প্রায় দশ হাজার সেনা, হাউৎজার কামান, রকেট লঞ্চিং ট্রাক নিয়ে টানা মহড়া দেয় লালফৌজ। কৃত্রিম যুদ্ধ চালানো হয় সেখানে। দাবি করা হয়, চিনের দক্ষিণ সীমান্তে যে কোনও সময় যে কোনও সামরিক অভিযান চালানোর জন্য পর্যাপ্ত জওয়ান, সামরিক সরঞ্জাম, অস্ত্র ও প্রযুক্তি মজুত আছে পিএলএ-র। তবে সেই সব দাবিই যে আদতে ভুয়ো, এবার সেকথাই স্পষ্ট জানিয়ে দিলেন কেন্দ্রীয় গোয়েন্দারা।

[সন্ত্রাসবাদীদের ‘স্বর্গরাজ্য’ পাকিস্তান, মার্কিন রিপোর্টে বেকায়দায় শরিফ প্রশাসন]

Sangbad Pratidin News App

খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ

Advertisement