সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: “রামলালা হম আয়ে হে, মন্দির ওহি বানায়েঙ্গে…।” নাহ! সারাজীবন যে দিনটার জন্য স্বপ্ন দেখেছেন লালকৃষ্ণ আডবানী (Lal Krishna Advani), মুরলী মনোহর জোশীরা (Murli Manohar Joshi), সেই দিনটা হয়তো তাঁরা চাক্ষুস করতে পারবেন না। দেখতে হবে ভারচুয়ালি বাড়িতে বসেই। এখনও পর্যন্ত যা খবর, আগামী ৫ আগস্ট রাম মন্দিরের ভূমিপুজোর অনুষ্ঠানে অযোধ্যায় উপস্থিত থাকছেন না বিজেপির এই দুই বর্ষীয়ান নেতা। এক সর্বভারতীয় সংবাদমাধ্যমের দাবি, তাঁদের নাকি এখনও আমন্ত্রণই জানানো হয়নি। আরেক সংবাদমাধ্যম আবার বলছে, করোনা সংক্রান্ত প্রটোকলের জন্যই আডবানীদের ভূমিপুজোয় আসার জন্য অনুরোধ করা হয়নি। মোট কথা, কারণ যাই হোক ৫ আগস্ট অযোধ্যায় ভূমিপুজোর অনুষ্ঠানে আডবানীরা যে থাকছেন না, সেটা প্রায় নিশ্চিত।
এমনিতে করোনা পরিস্থিতিতে ছোট করে হচ্ছে ভূমিপুজোর অনুষ্ঠান। আমন্ত্রিতদের তালিকা ক্ষুদ্র। সেই তালিকায় নাম আছে আরএসএস প্রধান মোহন ভাগবত (Mohan Bhagwat), বিশ্ব হিন্দু পরিষদের সহ-সভাপতি সম্পত রাই, রাম জন্মভূমি ন্যাসের প্রধান মোহন্ত নিত্যগোপাল দাস, যোগগুরু রামদেবের। আমন্ত্রিত বহু সাধু-সন্ত। শনিবার জানা গেল উমা ভারতী (Uma Bharti), এবং উত্তরপ্রদেশের প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী কল্যাণ সিংও আমন্ত্রিত। কিন্তু আডবানী-জোশীদের ব্যাপারটা নিয়ে ঝেড়ে কাশছে না ট্রাস্ট। কেন্দ্র সরকারি সূত্রের খবর, জোশী বা আডবানীর ওখানে কোনও কর্মসূচি নেই। তাছাড়া এই করোনা পরিস্থিতিতে আডবাণীদের মতো বয়স্কদের জনসমাগমে না যাওয়ায় ভাল। কিন্তু করোনা গাইডলাইন যদি মানতে হয়, তাহলে বয়সের জন্য প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি, বা আরএসএস (RSS) প্রধান মোহন ভাগবতেরও ওই অনুষ্ঠানে যাওয়ার কথা নয়। কারণ, এঁরা প্রত্যেকেই ষাটোর্ধ। এ
এদিকে, রাম মন্দির আন্দোলনের আরেক শরিক শিব সেনা সুপ্রিমো উদ্ধব ঠাকরেকেও ভূমিপুজোর অনুষ্ঠানে আমন্ত্রণ জানানো হয়নি। সেটা নিয়েও টুকটাক রাজনীতি হচ্ছে মহারাষ্ট্রে। অনেকেই বলছেন, যারা যারা সরকার তথা প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির সুনজরে আছেন, তাঁরাই মন্দির নির্মাণের এই ঐতিহাসিক সন্ধিক্ষণে শামিল হওয়ার আমন্ত্রণ পাচ্ছেন। বাকিদের আমন্ত্রণ জানানো হচ্ছে না। আর আডবানী-জোশীর মতো প্রবীণরা যে মোদির সুনজরে নেই, সেটা তো অনেক আগেই বোঝা গিয়েছে।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2024 Pratidin Prakashani Pvt. Ltd. All rights reserved.