অবাঞ্ছিত পরিস্থিতি এড়াতে তৎপর উত্তরপ্রদেশ সরকার।
সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: অত্যন্ত স্পর্শকাতর অযোধ্যা মামলায় অবাঞ্ছিত পরিস্থিতি এড়াতে তৎপর উত্তরপ্রদেশ সরকার। রায়দানের আগেই নয়া নির্দেশিকা জারি করে সোশ্যাল মিডিয়ায় দেবদেবী বা মনীষীদের নিয়ে কুরুচিকর মন্তব্যে নিষেধাজ্ঞা জারি করল যোগী সরকার।
চলতি মাসেই, সুপ্রিম কোর্টে বিতর্কিত রাম জন্মভূমি-বাবরি মসজিদ বিতর্ক মামলায় রায়দানের কথা। নভেম্বরের ১৭ তারিখ প্রধান বিচারপতি রঞ্জন গগৈ অবসর নেবেন। তার আগেই এই মামলায শীর্ষ আদালতের সাংবিধানিক বেঞ্চ রায় দেবে বলে মনে করা হচ্ছে। এদিকে, আসন্ন রায়দান নিয়ে অযোধ্যা-সহ গোটা দেশেই চাপা উত্তেজনা রয়েছে। এহেন পরিস্থিততে, অক্টোবরের ৩১ তারিখ চারপাতার একটি নির্দেশিকা প্রকাশ করেন অযোধ্যার ডিস্ট্রিক্ট ম্যাজিস্ট্রেট অনুজ কুমার ঝা। সেখানে নির্দেশ দেওয়া হয়েছ দেবদেবী বা মনীষীদের নিয়ে সোশ্যাল মিডিয়ায় (ফেসবুক, হোয়াটস অ্যাপ, ইনস্টাগ্রাম, টুইটার) কোনও বিরূপ মন্তব্য করা যাবে না। বিনা অনুমতিতে অযোধ্যায় কোন তর্ক বা আলোচনা চক্রের আয়োজন করতে পারবে না বৈদ্যুতিন সংবাদমাধ্যম। পাশাপাশি, ওই নির্দেশিকায় সাফ বলা হয়েছে, ধর্মীয় স্থানের পাশে মদ বিক্রি চলবে না ও শহরে সরকারি আধিকারিক ছাড়া কেই অস্ত্র বহন করতে পারবেন না। এর অন্যথায়, দোষীদের ভারতীয় দণ্ডবিধির ১৪৪ ধারা অনুসারে শাস্তি প্রদান করা হবে।
গত মাসেই ‘মন কি বাত’-এ অযোধ্যা মামলার রায় নিয়ে দেশকে সংযত থাকার বার্তা দিয়েছিলন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। উল্লেখ্য, ২০১০ সালের সেপ্টেম্বর মাস এলাহাবাদ হাই কোর্ট এক ঐতিহাসিক রায় দেয়। বিতর্কিত কাঠামোকে তিন ভাগে বিভক্ত করে দেওয়ার নির্দেশ দেয় আদালত। এক ভাগ পায় উত্তরপ্রদেশের সুন্নি সেন্ট্রাল ওয়াকফ বোর্ড এবং বাকি দুই ভাগ দেওয়া হয় নির্মোহী আখাড়া এবং রাম লালা কমিটিকে। কাঠামোর কর্তৃত্ব যায় হিন্দুদের দখলে। মুসলিমদের হয়ে এক আইনজীবী এই রায়কে চ্যালেঞ্জ জানান। ওই বছরের ডিসেম্বর মাসে অখিল ভারতীয় হিন্দু মহাসভা এবং সুন্নি ওয়াকফ বোর্ড এলাহাবাদ হাই কোর্টের রায়কে চ্যালেঞ্জ জানিয়ে সুপ্রিম কোর্টের দ্বারস্থ হয়।
[আরও পড়ুন: “দিল্লির দূষণ রুখতে ইন্দ্রদেবের যজ্ঞ করুন”, পরামর্শ উত্তরপ্রদেশের মন্ত্রীর]
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2024 Pratidin Prakashani Pvt. Ltd. All rights reserved.