সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: লাদাখ সীমান্তে ইন্দো-চিন রক্তক্ষয়ী সংঘর্ষে জড়ানো সকল ভারতীয় জওয়ান নিরাপদ আছেন। চিনা সেনার হাতে কেউ আটকে নেই। বৃহস্পতিবার এমনটাই জানাল বিদেশমন্ত্রক (Ministry of External Affairs বা MEA)। সোমবারের চিনা সেনার অতর্কিত হামলার পর থেকে ভারতীয় জওয়ানরা নিখোঁজ রয়েছেন বলে জল্পনা তৈরি হয়েছিল। লালফৌজের হাতে কয়েকজন জওয়ান বন্দি হয়েছেন বলেও গুজব রটেছিল। এদিনের বিদেশমন্ত্রকের বিবৃতি সেই জল্পনায় জল ঢেলে দিল। একইসঙ্গে গালওয়ান উপত্যকার ১৪ নম্বর পেট্রলিং পয়েন্ট ভারত ফের দখল করেছে বলে খবর। প্রসঙ্গত, এই এলাকায় তাঁবু গেড়ে বসেছিল পিএলএ (PLA)। সেই অনুপ্রবেশ ঘিরে সংঘাতের শুরু।
এদিন বিদেশমন্ত্রকের তরফে জারি করা বিবৃতিতে বলা হয়েছে, দুপক্ষের মধ্যে আলাপ-আলোচনা চলছে। দুপক্ষের তরফে শান্তি বজায় রাখা নিয়ে আলোচনা হচ্ছে। তবে প্ররোচনা দিলে ভারত তার যোগ্য দেবে। প্রসঙ্গত, সোমবার ভারত ও চিনের সেনাদের মধ্যে সংঘর্ষের জেরে ২০ জন ভারতীয় সেনা শহিদ হয়েছেন। ওদিকে সংবাদসংস্থা এএনআই জানায় যে, ক্ষতি এড়াতে পারেনি চিনও। ওই সংঘর্ষে সেদেশে হতাহত কমপক্ষে ৪৩ জন জওয়ান। বুধবার কেন্দ্রীয় বিদেশমন্ত্রী এস জয়শঙ্কর চিনের বিদেশমন্ত্রী ওয়াং ইয়িকে ফোনে বলেন, চিনা সেনারা পূর্ব পরিকল্পিতভাবেই পদক্ষেপের ফলেই ওই পরিস্থিতি পরিস্থিতি তৈরি হয়।
এ বিষয়ে বৃহস্পতিবার দুপুরে একটি টুইট করেন রাহুল গান্ধী (Rahul Gandhi) প্রধানমন্ত্রীকে বিঁধেছিলেন। নিরস্ত্র অবস্থায় ওই পরিস্থিতির দিকে দেশের বীর জওয়ানদের কে ঠেলে দিয়েছেন এবং ভারতীয় সেনাকর্মীদের মৃত্যুর জন্যে দায়ী কে এই নিয়েও সরাসরি প্রশ্ন তোলেন তিনি। সেই অভিযোগের জবাব এদিন সন্ধ্যায় দিলেন বিদেশমন্ত্রী এস জয়শংকর (S Jayshankar)। রীতিমতো তথ্য তুলে ধরে রাহুলের অভিযোগ খণ্ডন করেন বিদেশমন্ত্রী। তিনি বলেছেন, “দুই দেশের বাহিনী সশস্ত্র অবস্থায় সীমান্ত পাহারা দেয়। কিন্তু দ্বিপাক্ষিক চুক্তি মেনে কোনও দেশের সমরাস্ত্র ব্যবহারের অনুমতি নেই।” এই সংক্রান্ত তথ্য তুলে ধরে রাহুল গান্ধীকে সেই তথ্য দেখে নিতেও পরামর্শ দিয়েছেন বিদেশমন্ত্রী।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2025 Sangbad Pratidin Digital Pvt. Ltd. All rights reserved.