সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: ভোট যত এগিয়ে আসছে ততই যেন আলগা হচ্ছে মহাজোটের বাঁধন। উত্তরপ্রদেশ এবং এরাজ্যের পর অন্ধ্রপ্রদেশেও একলা চলোর নীতি নিতে চলেছে কংগ্রেস। অন্ধ্রের দলীয় কর্মীদের সঙ্গে সম্প্রতি বৈঠক করেছেন এআইসিসির সাধারণ সম্পাদক তথা কেরলের প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী ওমেন চান্ডি। বৈঠকের পরই তিনি জানিয়ে দিয়েছেন অন্ধ্রের ২৫টি লোকসভা এবং ১৭৫টি বিধানসভা আসনে একাই লড়বে শতাব্দীপ্রাচীন দল।
এই সিদ্ধান্ত ঘোষণার আগে দু’দিন ধরে দলের সাংসদ, বিধায়ক, প্রদেশ নেতা এবং জেলাস্তরের নেতাদের সঙ্গে কথা বলেন ওমেন চান্ডি। বৈঠকে তাঁরা সকলেই একলা চলার পক্ষে সওয়াল করেন। আসলে অন্ধ্রপ্রেদেশে টিডিপি এবং কংগ্রেস দীর্ঘদিন ধরেই পরস্পরের বিরোধী। জোট হলেও একে অপরের ভোট ট্রান্সফার হওয়া মুশকিল। উলটে বিরোধী জগন্মোহন রেড্ডির দল ওয়াইএসআর কংগ্রেসের সুবিধা হয়ে যেতে পারে। ওমেন চান্ডি এদিন সাফ জানিয়ে দিয়েছেন, টিডিপির সঙ্গে জোট জাতীয় স্তরে। রাজ্যস্তরে জোটের কোনও প্রশ্ন ওঠে না।
২০০৯ সালের আগে পর্যন্ত দাক্ষিণাত্যের এই রাজ্যে কংগ্রেসের দাপটও ছিল। ২০০৯ সালের লোকসভায় কার্যত একাই অন্ধ্র দখল করে ফেলে কংগ্রেস। কিন্তু, দু’ভাগে ভাগ করার পর তেলেঙ্গানা এবং অন্ধ্র দুই রাজ্যেই দলের অবস্থা সঙ্গীন হয়ে পড়ে। তেলেঙ্গানায় তবু খানিকটা ক্ষমতা ধরে রাখতে পারলেও অন্ধ্রে একেবারে নিঃশেষ হয়ে যায় কংগ্রেস। আলাদা দল তৈরি করেন ওয়াইএস জগন্মোহন রেড্ডি। ২০১৪ লোকসভায় কংগ্রেসের সাংসদ সংখ্যা ২১ থেকে নেমে যায় মাত্র ২টিতে। তবে, প্রদেশ কংগ্রেসের দাবি অন্ধ্রে ঘুরে দাঁড়াচ্ছে দল। নিজেদের পুরনো ভোটব্যাংকের অনেকটা আবারও ফিরে এসেছে। ফলে, ভবিষ্যতের কথা ভেবে একলা চলাই সবচেয়ে ভাল পন্থা হবে। টিডিপির সঙ্গে জোট হলেও আসনসংখ্যা খুব একটা বাড়বে না, উলটে দলের নিজস্ব ভোটব্যাংক ওয়াইএসআরে চলে যেতে পারে। তাছাড়া দক্ষিণের রাজ্যটিতে বিজেপির কার্যত কোনও অস্তিত্ব নেই। তাই জোট না হলেও বিজেপি সুবিধা পাবে না। তবে, জোট নিয়ে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেবেন রাহুল গান্ধী। অন্যদিকে, টিডিপি এখনও কংগ্রেসের সঙ্গে জোটের পক্ষেই সওয়াল করছে। মঙ্গলবারও জোটের ব্যপারে আশা প্রকাশ করেছিলেন চন্দ্রবাবুর ছেলে।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2024 Pratidin Prakashani Pvt. Ltd. All rights reserved.