সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: লাগামছাড়া হিন্দু নির্যাতন, বাড়ছে ভারত বিদ্বেষ। ইউনুসের বাংলাদেশ যেন হয়ে উঠেছে ত্রাসের দেশ। হিংসার আগুনে আরও ঘি পড়েছে বাংলাদেশে বিশ্ববিদ্যালয়ের পড়ুয়াদের পদতলে তেরঙ্গার ছবি ভাইরাল হওয়ায়। এই পরিস্থিতিতে বাংলাদেশিদের প্রায় বয়কটের পথে হাঁটল সীমান্ত রাজ্য ত্রিপুরা। রাজ্যের হোটল কর্তৃপক্ষের সম্মিলিত সিদ্ধান্ত, ত্রিপুরার হোটেলগুলিতে ঠাঁই হবে না বাংলাদেশিদের। মিলবে না থাকার জায়গা, খাবারও। এ বিষয়ে অল ত্রিপুরা হোটেল এবং রেস্টুরেন্ট ওনার্স অ্যাসোসিয়েশনের তরফে জানানো হয়েছে, জাতীয় পতাকার অবমাননা এবং হিন্দু নির্যাতনে মাত্র ছাড়িয়েছে বাংলাদেশে। তা বরদাস্ত করা হবে না। প্রতিবাদ জানাতেই হোটেলের দরজা বন্ধের সিদ্ধান্ত।
অল ত্রিপুরা হোটেল এবং রেস্টুরেন্ট ওনার্স অ্যাসোসিয়েশনের সাধারণ সম্পাদক সৈকত বন্দ্যোপাধ্যায় জানিয়েছেন, “আমরা ধর্মনিরপেক্ষ দেশে থাকি। এদেশে সমস্ত ধর্মের প্রতি সমান শ্রদ্ধা আছে। কিন্তু বাংলাদেশে এদেশের জাতীয় পতাকা পদদলিত হয়েছে। তার অপমান হয়েছে। এর আগেও বাংলাদেশে অনেক ঘটনা ঘটেছে, কিন্তু এটা সব সীমা ছাড়িয়ে গিয়েছে। বাংলাদেশের অবস্থা এখন খুবই উদ্বেগজনক। আমরা হোটেল কর্তৃপক্ষ হিসেবে পৃথিবীর যে কোনও প্রান্ত থেকে আসা মানুষকে পরিষেবা দিয়ে থাকি। কিন্তু বাংলাদেশে সংখ্যালঘুদের উপর নির্যাতনের ঘটনার তীব্র নিন্দা করছি।”
এর আগে বাংলাদেশ ইস্যুতে চিকিৎসা পরিষেবা নিয়েও বড় সিদ্ধান্ত নিয়েছিল হাসপাতালগুলি। নিজেদের রোজগারের পরোয়া না করেই কলকাতার এক চিকিৎসক এবং মানিকতলার একটি নার্সিংহোম কর্তৃপক্ষ বাংলাদেশি রোগী দেখা বন্ধ রাখার সিদ্ধান্ত নেয়। সোশাল মিডিয়ায় বিষয়টি জানিয়েছেন তাঁরা। স্বাভাবিকভাবেই ভাইরাল সেই পোস্ট। শিলিগুড়ির এক চিকিৎসকও শর্ত জারি করেছিলেন, তাঁর চেম্বারে ঢোকার আগে জাতীয় পতাকা প্রণাম করে ঢুকতে হবে। আর এবার ত্রিপুরার হোটেলগুলিও ব্যবসার কথা না ভেবে বাংলাদেশি পর্যটকদের আশ্রয় দেওয়া বন্ধের সিদ্ধান্ত নিল।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2024 Pratidin Prakashani Pvt. Ltd. All rights reserved.